ইনক্রিমেন্ট স্থগিতের প্রতিবাদে রাবি শিক্ষকদের ‘কলম বিরতি’

রাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৪ জুন ২০২২, ০৭:৫৮ পিএম

ইনক্রিমেন্ট স্থগিত রাখার প্রতিবাদে ‘কলম বিরতি’ কর্মসূচি। ছবি: রাবি প্রতিনিধি

ইনক্রিমেন্ট স্থগিত রাখার প্রতিবাদে ‘কলম বিরতি’ কর্মসূচি। ছবি: রাবি প্রতিনিধি

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের জন্য ঘোষিত ইনক্রিমেন্ট স্থগিত রাখার প্রতিবাদে ‘কলম বিরতি’ কর্মসূচি পালন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষকরা।

আজ মঙ্গলবার (১৪ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে আয়োজিত এক প্রতীকী কর্মসূচির মাধ্যমে তারা এ প্রতিবাদ জানান।

কর্মসূচিতে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক মোছা. হাসনা হেনা বলেন, ‘আমাদের সরকার শিক্ষকবান্ধব এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু কেনো আমাদের অর্জিত অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হলো। এটা আমাদের প্রশ্ন। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) যে ইনক্রিমেন্টটা বন্ধ করে দিয়েছে, আমরা দাবি জানাচ্ছি সেটা শিগগিরই চালু করা হোক। পাশাপাশি আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি যে, আমাদের যেখানে একটা ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হতো, সেখানে আমাদের শিক্ষকদের সম্মানিত ও গবেষণায় উৎসাহিত করার জন্য দুটি ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হোক। আর যতক্ষণ পর্যন্ত বন্ধকৃত ইনক্রিমেন্ট চালু না হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকবো।’

বিজ্ঞান অনুষদের অধিকর্তা অধ্যাপক সাহেদ জামান বলেন, ‘আজকে আমাদের ক্লাসে থাকার কথা, কিন্তু আমরা কলম বিরতি করতে বাধ্য হচ্ছি কেনো? এই প্রশ্ন আমরা জাতির কাছে রাখতে চাই। পিএইচডি ডিগ্রি না থাকাটাকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের যোগ্যতার ঘাটতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের জন্য যে ইনক্রিমেন্টটা বরাবরই চলে আসছে, সেটা বন্ধ করা হয়েছে। কার ইঙ্গিতে এটা করা হয়েছে, আমরা জানি না। আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে এটা হচ্ছে কিনা সেটাও জানি না। তবে, শিক্ষকদের মর্যাদার বিষয়টা যে জাতি ভাববে না, তাদের উন্নয়ন কখনোই সুগম হবে না বলে আমি মনে করি।’

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘পিএইচডি ডিগ্রির জন্য ইনক্রিমেন্ট এটি শিক্ষকদের আর্থিক নয়, আমি বলব মর্যাদার সাথে জড়িত। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের সামনে অনেকরকম বিকল্প পথ থাকে তার কর্মজীবন তৈরি করার জন্য। একজন শিক্ষক যখন ছাত্র ছিলেন তখন সর্বোচ্চ রেজাল্ট করে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার পেশাকে বেছে নিয়েছেন। এটি জাতি, সমাজ এবং নিজের কাছে একটি অঙ্গিকার। তারা মূলত নিজের মেধাকে বিকশিত করার সুযোগ পেতে এবং জাতি গঠনে ভূমিকা রাখতে এখানে আসেন।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক কুদরত-ই-জাহানের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের অর্ধশতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh