কুমিল্লা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২২, ০৮:২১ পিএম
কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) বাহাউদ্দীন বাহার
আমাকে বারবার কুমিল্লা থেকে বের করে দিতে চেষ্টা করেছে। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে। আমি কুমিল্লায় ছিলাম বলেই শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) বাহাউদ্দীন বাহার।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) সন্ধ্যায় কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাহাউদ্দীন বাহার বলেন, কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহান সরকার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। তার ব্যক্তিগত বিষয়ে তদন্ত হওয়া দরকার। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সন্তান হলে কখনো নৌকার কর্মীদের গায়ে হাত দিতে পারতেন না। আমার দলীয় নেতা-কর্মীদের কেন্দ্র থেকে পিটিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছে। পা ভেঙে দিয়েছে বিনা কারণেই।
তিনি আরো বলেন, আমাদের ৫০ জনেরও বেশি নেতা-কর্মী বিনা কারণে সোহান সরকারের নেতৃত্বে মার খেয়ে হসপিটালে পড়ে আছে, কেউ আছে জেলে। কেন? আমার নেতাকর্মীরা তো কোনো বিশৃঙ্খলা করেনি। সুষ্ঠু নির্বাচনে তারা সহযোগিতা করেছে। তবুও এই পদক্ষেপ কেন? আমি উত্তেজিত হলে কুমিল্লায় লাশ পড়ত।
এমপি বাহার বলেন, নির্বাচনে ১৪ জন নেতাকর্মীকে বিনা কারণে জেল দিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। ওই ম্যাজিস্ট্রেটদের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্ত হওয়া দরকার। আমি তাদের ব্যাপারে সন্দিহান।
দলের নির্বাচিত কাউন্সিলরদের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, আমি শুনেছি আমার দলীয় কাউন্সিলর যারা রয়েছেন, তাদের অনেকেই চাঁদাবাজিতে যুক্ত আছেন। নতুন মেয়র রিফাতকে নিয়ে আমি এসব চাঁদাবাজ কাউন্সিলরদের প্রতিহত করবো।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র আরফানুল হক রিফাত, কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতিকুল্লাহ্ খোকন, মহানগর আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ সহিদ, এমপি বাহারের স্ত্রী মেহেরুন্নেসা বাহার, মেয়ে আয়মান বাহার সোনালিস প্রমুখ।