নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭ জুন ২০২২, ০৮:০৮ পিএম | আপডেট: ১৭ জুন ২০২২, ০৯:৪৮ পিএম
খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশের পাঠানোর দাবিতে মানববন্ধন। ছবি- সংগৃহীত
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর পৌরসভার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্তের ঘটনায় সমালোচনা করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া কোনো আওয়ামী লীগের নেতার কাছে হারেননি। আপনি তো টিকে আছেন এক গোপালগঞ্জ নিয়ে। আপনি তো আঞ্চলিক নেতা। আর এই কারণে খালেদা জিয়ার ওপর এত অত্যাচার, তাকে এত কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে। আপনার (শেখ হাসিনা) গোপালগঞ্জ যেটাকে পারলে আপনি রাজধানী বানান, সেখানকার মুকসুদপুর পৌরসভার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এখন বুঝে নেন ঘরে যে খাট-চেয়ার থাকে, সেগুলোর পায়াও ভেঙে পড়া শুরু করেছে।
আজ শুক্রবার (১৭ জুন) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। ‘দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশের পাঠানোর দাবিতে’ মানববন্ধনের আয়োজন করে নাগরিক অধিকার ফোরাম।
আলাল বলেন, ধপাস করে যেদিন পড়ে যাবেন সেদিন ভারত থেকে সুজাতারা আর আসবে না। সেদিন হাত ধরে তোলার জন্য চীন থেকে আর কোনো বন্ধু আসবে না। সবদিক খেয়ে ফেলেছেন। একদিকে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের আওয়ামী লীগের প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়, অন্যদিকে বগুড়ার নন্দীগ্রামে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। অর্থাৎ পূর্ব-পশ্চিম, উত্তর-দক্ষিণ সবদিক থেকে আপনাদের তাসের ঘর ভেঙে পড়ছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আপনারা (আওয়ামী লীগ) বিদেশে আমেরিকার হাতে-পায়ে ধরে বলেন বিএনপি নির্বাচনে আসলে সব সমস্যা সমাধান হয়। তাদের হাতে-পায়ে না ধরে খালেদা জিয়ার কাছে যান। তাকে মুক্তি দিন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা করেন। নির্বাচন কমিশন বাতিল করেন, সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘সারা দেশের জনগণের জনপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়া। তিনি তার সারা জীবনে ২৩টি আসনে নির্বাচন করেছেন। সবকটি আসনেই তিনি জয় পেয়েছেন। পরাজয় বলতে তার কোনো কিছু নেই। আর এই কারণেই এই অবৈধ সরকারের রোষানলে পড়েছেন তিনি।’
আলাল বলেন, ‘আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা হলো কিছু গণবিরোধী কর্মকর্তা, কিছু পুলিশের কর্মকর্তার ওপরে। আর বিএনপির জনপ্রিয়তা এদেশের জনগণের দোয়া এবং সমর্থনের ওপরে।’
মানববন্ধনে আরো বক্তব্য দেন- বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ, কৃষক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।