শরীয়তপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২২, ০৯:০৭ এএম
বেগম সুফিয়া কামাল ফেরি। ফাইল ছবি
শরীয়তপুরের শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি রুটে দুই ফেরির সংঘর্ষে একজন নিহত, একজন নিখোঁজ ও অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আজ রবিবার (১৯ জুন) ভোর ৪টার দিকে জাজিরা প্রান্তের টার্নিং পয়েন্টে ফেরি বেগম রোকেয়া ও সুফিয়া কামালের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
দুর্ঘটনায় সুফিয়া কামাল ফেরিতে থাকা গাড়িতে চাপা পড়ে নিহত হন খোকন শিকদার (৪০) নামে এক পিকআপ ভ্যানচালক। তার বাড়ি ঝালকাঠি জেলায়।
ফেরির চালক ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাত থেকেই পদ্মা নদীতে প্রচণ্ড স্রোত ছিল। এই স্রোতের মধ্য দিয়ে ফেরি চলাচল করছিল। ভোর রাতের দিকে বেগম রোকেয়া ও সুফিয়া কামাল নামে দুই ফেরি নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেনি। এসময় তাদের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুটি ফেরির সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। এসময় ফেরিতে থাকা একজন গাড়ির চালক নিহতত হয়। আরেক চালক নদীতে পড়ে যায়। সংঘর্ষের পর দুটি ফেরিই নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছে যানবাহন ও যাত্রীদের নামান।
বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. জামাল হোসেন ও বিআইডব্লিউটিএ সাত্তার মাদবর মঙ্গলমাঝি ঘাটের শুল্ক আদায়কারী তৌফিকুল ইসলাম জানান, ফেরি সুফিয়া কামাল ৩০টি যানবাহন নিয়ে শরীয়তপুরের মাঝিকান্দি থেকে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে যাচ্ছিল। একই নৌপথে ৩৪টি যানবাহন ও অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে মাঝিকান্দির অভিমুখে যাচ্ছিলো ফেরি বেগম রোকেয়া। দুটি ফেরি পদ্মা নদীর টার্নিং পয়েন্ট জাজিরা প্রান্তে পৌঁছালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
মাওয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবু তাহের জানান, ফেরি দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির মরদেহ মাওয়া নৌপুলিশ ক্যাম্পে রয়েছে। আইনি পক্রিয়া শেষে নিহতের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তবে কোনো যাত্রী নিখোঁজ রয়েছে কি না এখনো বলা যাচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে এই রুটে ছয়টি ফেরি চলাচল করছে। দুর্ঘটনাকবলিত ফেরিতে অর্ধশতাধিক যান এবং দুই শতাধিক যাত্রী ছিলেন।