ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২২, ১০:৩৮ এএম
প্রতীকী ছবি
পৃথিবীর পরম নির্ভরতার নাম বাবা। তিনি ভরসা ও ছায়ার সঙ্গী। পরম শ্রদ্ধ্যেয় বাবার প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান প্রদর্শনপূর্বক প্রতি বছর জুন মাসের তৃতীয় রবিবার বাবা দিবস পালিত হয়। সেই অনুসারে আজ (১৯ জুন) বিশ্ব বাবা দিবস।
এই দিবসটি সারা বিশ্বের সন্তানেরা পালন করবেন। পিতার প্রতি সন্তানের সম্মান, শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা প্রকাশের জন্য দিনটি বিশেষভাবে উৎসর্গ করা হয়ে থাকে।
বাবা সন্তানের জন্য নীরবে কষ্ট সহ্য করেন। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সন্তানের শখ আহলাদ পূরণ করেন। অথচ নিজের জীবনের সমস্ত শখকে বিসর্জন দেন পরিবার ও সন্তানের কল্যাণে। জীবনে যতো ঝড়-দুর্বিপাক আসুক না কেন, তিনি ভেঙে পড়েন না।
কবি বলেছিলেন, ‘ঝিনুক নীরবে সহো/ঝিনুক নীরবে সহো,/ঝিনুক নীরবে সহে যাও/ভিতরে বিষের বালি, মুখ বুঁজে মুক্তা ফলাও!’
কবি আবুল হাসানের সেই ঝিনুকটিই যেন বাবা। সব কষ্ট একা বুকে বয়ে বেড়ান। সন্তানকে বুঝতে দেন না।
বিংশ শতাব্দীর প্রথমদিক থেকে বাবা দিবস পালন শুরু হয়। আসলে মায়েদের পাশাপাশি বাবারাও যে তাদের সন্তানের প্রতি দায়িত্বশীল- এটা বোঝানোর জন্যই এই দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে। পৃথিবীর সব বাবার প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা প্রকাশের ইচ্ছা থেকে যার শুরু।
ধারণা করা হয়, ১৯১০ সালের ১৯ জুন থেকে বাবা দিবস পালন করা শুরু হয়।
১৯১৩ সালে আমেরিকান সংসদে বাবা দিবসকে ছুটির দিন ঘোষণা করার জন্য একটা বিল উত্থাপন করা হয়। ১৯২৪ সালে তৎকালীন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ক্যালভিন কুলিজ বিলটিতে পূর্ণ সমর্থন দেন। অবশেষে ১৯৬৬ সালে প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি. জনসন বাবা দিবসকে ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করেন।
বাবা দিবসকে ঘিরে নাটক, টকশোসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে রেডিও ও টিভি চ্যানেলগুলো। বাবা দিবসে শ্রদ্ধা আর ভালবাসা পূর্ণতা পাক, দৃঢ় হোক পরিবারের বন্ধন। পৃথিবীর সব বাবার প্রতি রইলো বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালবাসা।