বর্ষায় জনশুমারি, সরকারের কোটি টাকা গচ্ছা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২২, ০১:৩৭ পিএম

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

গত বুধবার (১৫ জুন) থেকে শুরু হওয়া ষষ্ঠ ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২’ কার্যক্রম শেষ হবে আগামী ২১ জুন। বর্ষা মৌসুমে করা এই জনশুমারিতে সরকারকে গুনতে হচ্ছে বাড়তি ৩২ কোটি টাকা। সেই সাথে বন্যাকবলিত অঞ্চলে জনশুমারির জন্য নিতে হচ্ছে বিশেষ ব্যবস্থা। 

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বর্ষা মৌসুমে শুমারি করতে গিয়ে ব্যয়ের নতুন কিছু খাত যুক্ত হয়েছে। তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজারদের সুরক্ষায় সাড়ে চার লাখ ছাতা কেনা হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৩ কোটি টাকা। প্রতিটি ছাতা ২৬০ টাকা করে কেনা হয়। ট্যাবের জন্য পানিনিরোধক ব্যাগ কেনায় ব্যয় হয়েছে ৩ কোটি টাকা।

বৃষ্টিতে দুর্গম এলাকায় যেতে স্পিডবোট বা ট্রলার লাগবে। এ জন্য যাতায়াত ভাতা (হায়ারিং চার্জ) খাতে বরাদ্দ ১৬ কোটি থেকে বাড়িয়ে ৩৩ কোটি টাকা করা হয়েছে। ভ্রমণ ও দৈনিক ভাতা বাবদ বরাদ্দ ৩১ কোটি থেকে বাড়িয়ে ৬৫ কোটি টাকা করা হয়েছে। 

বিশেষ নজরে রাখা হয়েছে বন্যাকবলিত অঞ্চল এমন মন্তব্য করে প্রকল্প পরিচালক মো. দিলদার হোসেন বলেন, ‘২১ তারিখের মধ্যে আপনার কাছে গণনাকারীরা যাবে। তারপরেও যদি আপনার গণনা না হয় তাহলে আমাদের কল সেন্টারের মাধ্যমে আপনি আপনার তথ্যটা দিলে গণনাকারী আপনার কাছ থেকে তথ্য নেওয়ার ব্যবস্থা করবে।’

কোনো কারণে গণনাকর্মীর গণনায় যদি কেউ বাদ পড়েন বা শুমারির বিষয়ে কোন কিছু জানার বা জানানোর থাকে, তাহলে প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা খোলা কল সেন্টারে ফোন করলে মিলছে তারও সমাধান।

তিনি আরো বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি যে এই মুহূর্তে সব মিলিয়ে ৫০ শতাংশ অগ্রগতি আছে, সেই সাথে খুব দ্রুত এটা এগোচ্ছে। শুমারির প্রটোকল অনুযায়ী আমাদের সবার তথ্য নিতে হবে, এটা নিশ্চিত করতে হবে। যদি এই ধরনের কোন দুর্যোগপূর্ণ অবস্থা হয় সে ক্ষেত্রে শুমারির প্রটোকল অনুযায়ী আমরা কোনো ব্যবস্থা নিতেও পারি। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh