ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২২, ১১:৩৪ পিএম
নাসার স্যাটেলাইটে কাস্পিয়ান সাগরের ওপর ভাসমান সেই মেঘ। ছবি- সংগৃহীত
বিশ্বের বৃহত্তম হ্রদ কাস্পিয়ান সাগরের ওপরে অদ্ভুত এক মেঘের দেখা মিলেছে। সেই মেঘের ছবি তুলেছে নাসা।
নাসার বিজ্ঞানীরা বলছেন, মূলত ওই কুণ্ডলীর আকৃতির জন্যই অনেকে অবাক হয়েছেন।
ওই কুণ্ডলীর বিভিন্ন প্রান্তগুলোকে কোনো কার্টুনের অনুরূপে কিছু একটার মতো মনে হচ্ছিল। আবার অন্য একটি দৃশ্যকোণ থেকে ওই কুণ্ডলীকে দৃশ্যপটে আঁকা কিছু সাধারণ বিচ্ছুরিত এবং বিচ্ছুরিত মেঘের আবরণের সঙ্গে তীক্ষ্ণ কিছুর মতো মনে হচ্ছিল।
গত ২৮ মে নাসার বিজ্ঞানীরা উপগ্রহের ছবি ঘাঁটতে ঘাঁটতে এই কুণ্ডলীটি দেখতে পান বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
নেদারল্যান্ডস ইনস্টিটিউট ফর স্পেস রিসার্চের বিজ্ঞানী বাস্তেন ভ্যান ডিডেনহোভেনের ভাষ্যমতে,“ওই কুণ্ডলীটি হলো ছোট একটি স্ট্র্যাটোকুমুলাস মেঘ। এ ধরনের মেঘগুলো কিউমুলাস মেঘগুলি ফুলকপি আকৃতির মেঘের স্তূপ। এ মেঘগুলো সাধারণত ভালো আবহাওয়ায় পাওয়া যায়। স্ট্র্যাটোকুমুলাস মেঘে এই স্তূপগুলো একত্রে জড় হয়ে একটি বিস্তৃত আনুভূমিক স্তর তৈরি করে।”
ছবিতে দেখা যায়, তা হলো স্ট্র্যাটোকুমুলাস মেঘের তৈরি স্তর প্রায় ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। এই মেঘগুলো সাধারণত কম উচ্চতায় তৈরি হয়। সাধারণত ভূমি থেকে ৬০০ বা ২০০০ মিটার ওপরে এই মেঘ তৈরি হয়। ছবির মেঘটি সম্ভবত ১৫০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থান করছিল।
সকালের দিকে যখন ছবিটি তোলা হয়েছিল, তখন কাস্পিয়ানের মধ্যভাগের ওপর মেঘ ছিল। বিকেলের দিকে এটি উত্তর-পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়েছিল। আর মধ্য কাস্পিয়ান সাগরের ওপর দিয়ে বিকেলে উত্তর-পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়েছিল। ককেশাস পর্বতমালার পাদদেশের কাছে একটি নিচু সমভূমি বরাবর ওই মেঘ রাশিয়ার মাখাচকালার উপকূলে পৌঁছেছিল।
ভ্যান ডিডেনহোভেনের দাবি, উষ্ণ ও শুষ্ক বায়ু ক্যাস্পিয়ানের ওপরের ঠাণ্ডা, আর্দ্র বাতাসের সঙ্গে মিশে এ মেঘ তৈরি হতে পারে। মেঘটি তখন সমুদ্রের ওপর দিয়ে ভেসে যেতে পারত এবং স্থলভাগে পৌঁছালে তা বিলীন হয়ে যেত।