ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২২, ০৮:১৮ পিএম | আপডেট: ২৮ জুন ২০২২, ০৮:১৮ পিএম
ফাইল ছবি
দেশে বন্যা
পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও দেখা দিয়েছে পানিবাহিত রোগ। সারাদেশে বন্যা ও বন্যায়
সৃষ্ট রোগে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৬ জনে। এরমধ্যে সিলেট বিভাগেরই ৫৩ জন। এছাড়া
ময়মনসিংহ বিভাগের জেলাগুলোতে ২৮ জন এবং রংপুর বিভাগে এপর্যন্ত পাঁচজন মারা গেছেন।
বন্যা পরিস্থিতি
নিয়ে মঙ্গলবার (২৮ জুন) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার
ও কন্ট্রোল রুম থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়। গত ১৭ মে
থেকে মঙ্গলবার (২৮ জুন) পর্যন্ত সময়ে তাদের মৃত্যু হয়। বন্যাকবলিত এলাকায় সৃষ্ট দুর্ঘটনা
এবং বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে তারা মারা গেছেন।
বন্যায় জেলাভিত্তিক
মৃত্যুতে সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে সুনামগঞ্জ। ১৭ মে থেকে ২৮ জুনের মধ্যে এজেলায় ২৬ জনের
মৃত্যু হয়েছে। সিলেট জেলায় মারা গেছেন ১৮ জন। এ ছাড়া হবিগঞ্জে চারজন ও মৌলভীবাজারে
পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
নেত্রকোনায়
ও জামালপুরে বন্যা ও বন্যায় সৃষ্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে ৯ জন করে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ময়মনসিংহে মারা গেছেন পাঁচজন। এছাড়া শেরপুরে পাঁচজন, কুড়িগ্রামে চারজন ও লালমনিরহাটে
একজনের মৃত্যু হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে
বলা হয়েছে, রবিবার পর্যন্ত বন্যাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৫ হাজার ৮৯০ জন।
মঙ্গলবার তা বেড়ে ৭ হাজার ৭৩১ জনে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ দুদিনে এক হাজার ৮৪১ জন।
বন্যার শুরু
থেকে এপর্যন্ত দেশে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ২৪৪ জন। এতে মৃত্যু হয়েছে একজনের।
আরটিআই (চোখের রোগ) রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৩১১ জন। তবে এতে কারো মৃত্যুর খবর নেই।
বজ্রপাতে আক্রান্ত
হয়েছেন ১৫ জন, যাদের মধ্যে ১৪ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। সাপের দংশনের শিকার হয়েছেন ১০ জন।
তাদের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে ৬১ জনের।