নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২২, ১০:৫৮ এএম | আপডেট: ২৯ জুন ২০২২, ১১:৩৮ এএম
প্রতীকী ছবি
রাজধানীর ডেমরার একটি বাসার দরজা ভেঙে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার পর স্বামী আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে ধারণা করছে পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার (২৮ জুন) ডেমরার মধুবাগ ১৯/৫ নম্বর বাসার দ্বিতীয় তলা থেকে ওই দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ওই দম্পতির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এসময় মো. লিয়কত আলীকে (৫০) বৈদ্যুতিক পাখার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ও তার স্ত্রী সীমা সুলতানাকে (৪০) বিছানায় শোয়া অবস্থায় পাওয়া যায়। লিয়াকত ফরিদপুরের বোয়ালমারি উপজেলার আজিম মোল্লার ছেলে। সীমার বাড়ি মাগুরায়। তাদের লিমা (২৫) ও লিমন (১৮) নামে দুই ছেলে-মেয়ে রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, লিয়াকত ওই বাড়ির নিচতলায় লিমা ফার্মেমি নামে একটি ওষুধের দোকান চালাতেন। বাড়িটিতে তারা গত ২০ বছর ধরে পরিবারসহ ভাড়া থাকতেন।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, গত সোমবার (২৭ জুন) গভীর রাতে পারিবারিক কলহের জেরে লিয়াকত প্রথমে তার স্ত্রীকে হত্যা করে পরে নিজে বৈদ্যুতিক পাখার সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে খাবার খেয়ে ছেলে লিমন নিজের ঘরে পড়াশোনা করে ঘুমিয়ে পড়েন। মঙ্গলবার সকালে ঘুম থেকে উঠে কলেজে চলে যান। বিকেলে বাসায় ফিরে দেখেন মা-বাবার ঘরের দরজা বন্ধ। পরে ভেন্টিলেটর দিয়ে বাবার ঝুলন্ত দেহ দেখে বাড়ির মালিক জাকারিয়াকে খবর দেন। পরে বাড়ির মালিকসহ স্থানীয়রা ডেমরা থানায় খবর দিলে ওই দিন সন্ধ্যায় পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
ডেমরা থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধারসহ সুরতহাল শেষে রাতেই মরদেহ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) মর্গে পাঠানো হয়। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।