নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২২, ০৯:৫৩ এএম
বাংলাদেশি মুদ্রা। ফাইল ছবি
সারাদেশের হাটগুলোতে পুরোদমে চলছে কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয়। থেমে নেই প্রয়োজনীয় নানা পণ্য ক্রয়। ব্যস্ততার এসময় অসাধু লোকেরা জাল নোট বাজারে ছাড়ার পাঁয়তারা করতে পারে। এমনকি অনেক ক্রেতা জাল নোট ব্যবহার করে পশু কিনতে পারেন। সুতরাং প্রতারণা প্রতিরোধে লেনদেনের সময় নোট যাচাই করা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
টাকার নোটের প্রধান নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যগুলো মনে রাখলেই জাল নোট সনাক্ত করা সহজ হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, একশ টাকা, পাঁচশ টাকা ও এক হাজার টাকা মূল্যমানের নোটের ওপরের ডানদিকে কোনায় ইংরেজিতে লেখা নোটের মূল্যমান রং পরিবর্তনশীল কালিতে মুদ্রিত রয়েছে। একশ ও এক হাজার টাকা মূল্যমানের নোট আস্তে আস্তে নাড়াচাড়া করলে নোটের মূল্যমান লেখাটি সোনালি হতে ক্রমেই সবুজ রঙে পরিবর্তিত হয়। একইভাবে পাঁচশ টাকার নোটে ৫০০ মূল্যমান লেখাটি লালচে হতে পরিবর্তিত হয়ে সবুজ হয়। জাল নোটে ব্যবহৃত এ রং চকচক করলেও তা পরিবর্তিত হয় না।
একশ টাকা, পাঁচশ টাকা ও এক হাজার টাকার নোটের সামনের ও পেছনের পিঠের ডিজাইন, মধ্যভাগের লেখা, নোটের মূল্যমান এবং সাতটি সমান্তরাল সরল রেখা আড়াআড়িভাবে মুদ্রিত আছে।
টাকায় বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো সংবলিত নিরাপত্তা সুতা রয়েছে। নখের আঁচড়ে বা দুমড়েমুচড়ে নিরাপত্তা সুতা কোনোক্রমেই উঠানো সম্ভব নয়। জাল নোটে নিরাপত্তা সুতা সহজেই নখের আঁচড়ে উঠে যায়।
একশ টাকা, পাঁচশ টাকা ও এক হাজার টাকার প্রতিটি নোটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি, বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম এবং নোটের মূল্যমান জলছাপ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
নোট জাল করা ও জাল নোট ক্রয়-বিক্রয় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন।