দাম বেড়েছে সবজি-মুরগির

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২২, ০৪:০০ পিএম | আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২২, ০৪:০১ পিএম

নিত্যপণ্য। ছবি: সংগৃহীত

নিত্যপণ্য। ছবি: সংগৃহীত

সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে দাম বেড়েছে সবজি ও মুরগির। অন্যদিকে কমেছে পেঁয়াজের দাম। এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য পণ্যের দাম। 

আজ শুক্রবার (৮ জুলাই) সকালে রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

বাজারে দাম বেড়েছে সবজির দাম। এসব বাজারে শসা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। লম্বা বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ৬০ টাকা, চাল কুমড়া পিস ৫০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, পেঁপের কেজি ৫০ টাকা, বটবটির কেজি ‌৮০ টাকা, ধুনধুলের কেজি ৬০ টাকা।

১১ নম্বর বাজারের সবজি বিক্রেতা কাদের খান বলেন, উৎপাদন কম থাকায় সবজির দাম বেড়েছে। দাম কমার সম্ভাবনা কম আছে।

এইসব বাজারে ৬০ টাকা দাম বেড়ে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। শুকনা মরিচের কেজি ৪০০ টাকা।  

বাজারে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। পেঁয়াজের দাম কমেছে। কেজি বিক্রি হচ্ছে, ৪০ টাকা কেজি। আর একটু ভাল মানের পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা। এসব বাজারে রসুনের কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। বাজারে চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা। আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়।

১১ নম্বর বাজারের পেঁয়াজ-রসুন বিক্রেতা আলিম শেখ বলেন, এবার ঈদ উপলক্ষে দাম বাড়েনি। পেঁয়াজের দাম কমেছে। ভারতের পেঁয়াজ আমদানি হওয়ায় দাম কমেছে। কৃষকরা মাইর খেয়ে গেল। দাম পাচ্ছে না।  

বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। এছাড়াও এসব বাজারে দেশি মুশুরের ডালের কেজি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। ইন্ডিয়ান মুশুরের ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়।  

প্যাকেট আটার কেজি এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০। খোলা আটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। বাজারে ভজ্যতেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ২০৫ টাকার।  

এসব বাজারে লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। বাজারে হাঁসের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৯৫ থেকে ১৯০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ২০০ থেকে ১৯০ টাকা।  

ডিম বিক্রেতা মাসুদ বলেন, লাল ডিম ও দেশি মুরগির ডিমের দাম বাড়েনি। বন্যার কারণে হাঁসের ডিমের দাম বেড়েছে।

বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৭০০ টাকা। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকায়।

বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে কেজি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায়।

১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা রুবেল বলেন, ঈদ উপলক্ষে মুরগির দাম বেড়েছে। বাজারে রয়েছে সিন্ডিকেটর প্রভাব।  

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh