ছুরি-চাপাতি বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২২, ০৮:২১ পিএম

ছুরি-চাপাতি। ছবি- সংগৃহীত

ছুরি-চাপাতি। ছবি- সংগৃহীত

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ভিড় বেড়েছে চাপাতি ও ছুরির দোকানে। অতিরিক্ত চাহিদার কারণে সারা বছরের তুলনায় দাম বাড়িয়েছেন বলে জানান বিক্রেতারা।

অপরদিকে ক্রেতারা বলছেন, গত বছর ঈদুল আজহার তুলনায় এবারে প্রতিকেজি লোহায় কামারেরা ২০০ টাকা বেশি নিচ্ছেন। এমনকি পুরনো ছুরি চাকু ধার দিতেও অস্বাভাবিক দাম চাইছেন তারা।

সরেজমিনে রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাজারে ঘুরে জানা যায়, চাপাতি ও দা-বটি বিক্রি হয় কেজি হিসেবে। আর ছুরি বিক্রি হয় পিস হিসেবে। প্রকারভেদে একেকেটি চাপাতির দাম কেজিপ্রতি ৬০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়। আর দা-বটির দাম কেজিপ্রতি ৪০০ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত।

অপরদিকে ছোট ছুরি ৫০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, গরু জবাইয়ের ছুরি ৩০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১২০০টাকা পিস এবং খাসি জবাইয়ের ছুরি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত বছর প্রতি পিস ও কেজিতে ১০০ থেকে ২০০ টাকা কমে কেনা গেছে।

কাওরান বাজার থেকে চাপাতি কিনছিলেন ব্যবসায়ী রিয়াজ উদ্দিন। তিনি বলেন, গত বছর ৪০০/৫০০ টাকা কেজি চাপাতি কিনেছিলাম। তবে এবার তা বেড়ে ৬০০ টাকা হয়েছে।

নাখালপাড়া এলাকায় ছুরি কিনছিলেন সিয়াম সারোয়ার। তিনি বলেন, আসলে বাজারে সব কিছুরই দাম বেড়েছে। আর কোরবানির আগে তো এসবের দাম বাড়ে। এবারেও ব্যতিক্রম হয়নি।

এদিকে চাহিদার কারণে চাপাতি, ছুরি ও বটির দাম বেড়েছে বলে জানান বিক্রেতারা।

মা জননী ভোলা কর্মশালা স্টোরের মো. সুমন বলেন, প্রতিকেজি লোহায় ১০০ টাকা করে দাম বেড়েছে। এছাড়া কয়লার দাম বেড়েছে। আগে যে কয়লা ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা বস্তায় কিনে আনতাম। সেটি এখন হাজার ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকা আনতে হয়।

কারওয়ান বাজারের দোকানি সোহান শেখ বলেন, চাপাতি, ছুরি ও বটির চাহিদা এখন বেশি। আগের চেয়ে লোহার দাম বেড়েছে। তাই দা-ছুরি-চাপাতির দাম বেড়েছে।

কাওরান বাজার কামারপট্টি ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, জিনিসপত্রের দাম তো বাড়ছে। তবে তা বেশি নয়। আর দাম একটু বেশি হলেও আমাদের তৈরি জিনিসগুলো মান ভালো। একবার কিনলে আট থেকে দশ বছর ব্যবহার করা যায়।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh