এলস-হোয়্যার

তাপস্বী রাবেয়া

প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২২, ০২:৩৩ পিএম

বইয়ের প্রচ্ছদ

বইয়ের প্রচ্ছদ

সেইন্ট এক্স উপন্যাস খ্যাত লেখিকা অ্যালেক্সিস শ্যাটকিনের নতুন উপন্যাস এলস-হোয়্যার এক নতুন গল্প নিয়ে হাজির হয়েছেন যার কাহিনি পাঠককে আবেগপ্রবণ, চিত্তাকর্ষক এবং একই সঙ্গে জাদুর মতো আচ্ছন্ন করে তুলতে পারে।

গল্পে দেখা যায় প্রত্যন্ত পাহাড়ি এক গ্রামের প্রেক্ষাপট যেখানে মায়েরা সচরাচর অদৃশ্য হয়ে যায়। সেই গ্রামের ষোলো বছর বয়সী এক তরুণী, নাম তার ভেরা। বিপত্নীক বাবাকে কাজে সাহায্য করে সে। বয়ঃসন্ধি কালের একটা কঠিন সময় মা ছাড়া পার করায় ভেরা এবং তার বন্ধুরা তাদের সম্ভাব্য ভাগ্যের ব্যাপারে খুবই সচেতন থাকে। নির্দিষ্ট কোনো কারণ ছাড়াই সেই গ্রামের মায়েরা অদৃশ্য হয়ে যায় তাই কোনো মেয়ের মা হারিয়ে গেলে ধারণা করা হয় এটি তার অতিরিক্ত যত্ন বা অবহেলা অথবা পিতামাতার কোনো পাপের জন্য হয়েছে। তারপর একদিন রুথ নামের এক আগন্তুক অজানা এক জায়গা থেকে আসে এবং গ্রামবাসীকে সচেতন ও আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। রুথকে অন্য কোথাও চলে যেতে বাধ্য করার আগে পর্যন্ত রুথ ভেরার মনে অন্য কোথাও চলে যাওয়ার বীজ বপন করে যায়। 

কয়েক বছর পর ভেরা নিজে মা হয়। তার মেয়ের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান মমতা ও স্নেহের সম্পর্কে জড়িয়ে গেলে সে রুথের বলে যাওয়া কথাগুলো স্মৃতিচারণ করে ভেরা বুঝতে পারে সেও হয়তো অদৃশ্য হওয়ার পথে। ঠিক এ সময় ভেরা একটি চমৎকার ও মর্মস্পর্শী ব্যাপার অনুধাবন করে আর সেটা হলো, মানুষ তার সব থেকে প্রিয় কোনো জিনিস ও চিরজীবন আগলে রেখে দিতে পারবে না, মানুষ কেবল স্মৃতিটুকুই ধারণ করতে পারে। লেখিকা শ্যাটকিন এই গল্পের মাধ্যমে মাতৃত্বের দ্বারা সৃষ্ট জটিল সব উপাদানকে সাবলীলভাবে তুলে ধরেছেন। মায়েদের সন্তানকে ঘিরে সব উল্লাস, আনন্দ, হতাশা  এবং ভালোবাসার চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন যা পাঠককে একটি সুন্দর সময়ে পরিভ্রমণ করাবে।


উপন্যাস : এলস-হোয়্যার
লেখক : অ্যালেক্সিস শ্যাটকিন
প্রকাশক : সেলাডন বুকস
প্রকাশ : ২৮ জুন ২০২২
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ২৪০
আইএসবিএন : ৯৭৮১২৫০২১৯৬৩৩

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh