প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২২, ১১:৪৯ এএম | আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২২, ১১:৫১ এএম
ছবিতে পোল্যান্ডের একটি পরিত্যক্ত নাৎসি কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প। ছবি: ফ্রান্স টুয়েন্টিফোর
পোল্যান্ডে একটি পরিত্যক্ত নাৎসি কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পের কাছে প্রায় আট হাজার মানুষের সমতুল্য মানুষের ছাই সমন্বিত একটি গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে।
গতকাল বুধবার (১৩ জুলাই) দেশটির ইন্সটিটিউট অফ ন্যাশনাল মেমব্রেন্স এ দাবি করেছে বলে আজ বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ফরাসি গণমাধ্যম ফ্রান্স টুয়েন্টিফোর।
ইন্সটিটিউটটি পোল্যান্ডের নাৎসি দখল এবং কমিউনিস্ট যুগে সংঘটিত অপরাধের তদন্ত করে জানায়, ধ্বংসাবশেষগুলি সোলদাউ কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পের কাছে খুঁজে পাওয়া গেছে। ওয়ারশের উত্তরে অবস্থিত ওই এলাকাটি বর্তমানে ডিজিয়ালডো নামে পরিচিত।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পোল্যান্ড দখল করার সময় নাৎসি বাহিনী শিবিরটি তৈরি করেছিল। তারা এটিকে ইহুদি, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ এবং পোলিশ রাজনৈতিক নেতাদের বন্দী রাখা এবং নির্মূল করার জায়গা হিসাবে ব্যবহার করতো।
ধারণা করা হয়, সোলদাউ কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে অন্তত ৩০ হাজার বন্দীকে হত্যা করা হয়েছে। যদিও প্রকৃত নিহতের সংখ্যা কখনই জানা যায়নি বা নিশ্চিত করা যায়নি।
তদন্তকারী টমাস জানকোস্কি বলেন, সেখানে প্রায় ১৭.৫ টন বা ১৫ হাজার ৮০০ কেজি মানবদেহের ছাই-ভস্ম মিলেছে। যা দেখে দাবি করাই যেতে পারে সেখানে অন্তত আট হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল বা হত্যা করা হয়েছিল।
প্রতি দুই কেজি ছাই একজন মানুষের ভস্ম হিসেবে ধরে মোট নিহতের সংখ্যা বের করেছেন তদন্তকারীরা। জানকোস্কির দাবি, গণকবরে দাফন করা নিহতদের ‘সম্ভবত ১৯৩৯ সালের দিকে হত্যা করা হয়েছিল এবং বেশিরভাগই পোলিশ অভিজাতদের অন্তর্ভুক্ত ছিল।’
যুদ্ধ শেষের বছর ১৯৪৪ সালে নাৎসি কর্তৃপক্ষ যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ মুছে ফেলার জন্য ইহুদি বন্দীদের মৃতদেহ খুঁড়ে পুড়িয়ে ফেলার নির্দেশ দেয়।
পোমেরানিয়ান মেডিকেল ইউনিভার্সিটির জেনেটিক্স গবেষক আন্দ্রেজ ওসোস্কি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এবং সেসব নিয়ে পরীক্ষাগারে গবেষণা করা হবে। তিনি আরো বলেন, ডিএনএ বিশ্লেষণ করার পর আমরা নিহতের পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারব।