সেই ফিরতি ভিড় নেই সদরঘাটে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২২, ১২:৩০ পিএম

সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে নেই ঈদে ফিরতি মানুষের চাপ। ছবি: সংগৃহীত

সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে নেই ঈদে ফিরতি মানুষের চাপ। ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণবঙ্গের মানুষজন রাজধানী ঢাকার সাথে যোগাযোগের জন্য এতোদিন নৌপথকেই বেঁছে নিতেন। বিশেষ করে ঈদের সময় বাড়ি ফেরা এবং ঈদ শেষে ফের রাজধানীতে ফেরার সময় সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে থাকতো বাড়তি চাপ। ঘাটে পা ফেলার জায়গাও থাকতো না। গত ঈদুল ফিতরেও সেই চিত্র দেখা গেছে। তবে এবার ঈদের ছুটি শেষ হলেও সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে সেই ভিড় অনুপস্থিত। 

আজ বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বরিশাল, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, ভোলা, পিরোজপুর ও বরগুনার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা লঞ্চগুলোতে যাত্রীদের তেমন ভিড় নেই। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার কারণেই এই শূন্যতা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন লঞ্চ মালিকরা।

বরিশাল থেকে আসা সুন্দরবন-১১-এর যাত্রী মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আগের ঈদগুলোতে দেখেছি সদরঘাটে যাত্রী নামিয়ে লঞ্চ আবার বরিশালের উদ্দেশে ছেড়ে যেত। এখন সেগুলো টার্মিনালেই থেকে যাচ্ছে। পদ্মা সেতু চালুর কারণে এবার লঞ্চগুলোতে যাত্রীদের চাপ কমে গেছে। তার ওপর আজ বৃহস্পতিবার, সামনে সাপ্তাহিক ছুটিও রয়েছে।’

অ্যাডভেঞ্চার লঞ্চের যাত্রী মনসুর বলেন, ‘যাত্রীদের চাপ না থাকায় সদরঘাট টার্মিনাল ফাঁকা। একান্ত ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ঢাকায় ফিরতে হলো। না হলে শনিবার (১৬ জুলাই) ফেরার ইচ্ছা ছিল।’

পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় অনেকে সড়ক পথে ঢাকায় ফিরছেন। আর এ জন্য সদরঘাট ফাঁকা বলে জানালেন তিনি। বলেন, ‘ঠিক সময়েই লঞ্চ ছেড়েছে। তবে যাত্রী খুব বেশি নেই। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় অনেকে সড়ক পথে ঢাকায় ফিরছেন।’

সুন্দরবন-৭ লঞ্চের স্টাফ আবু হাসান বলেন, ‘পদ্মা সেতু হওয়ার কারণে এমনিতেই যাত্রী কম। এছাড়া আগামীকাল শুক্রবার (১৫ জুলাই) হওয়ায় আজ যাত্রী খুবই কম। অধিকাংশ লঞ্চেই বেশির ভাগ আসন ফাঁকা ছিল।’

দক্ষিণবঙ্গের সাথে যোগাযোগে পদ্মা সেতু চালুর পর প্রথম ঈদে এবার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে বাড়ি ফেরা মানুষের ভিড়ের চিত্রও ছিল অনেকটাই ভিন্ন।

ঈদযাত্রা শুরুর পর তেমন ভিড় লক্ষ করা যায়নি টার্মিনালে। তবে সেই চিত্র কিছুটা বদলায় ঈদের আগের দুই দিনে। তখন লঞ্চে বাড়ি ফিরতে কিছুটা ভিড় দেখা যায়।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh