এক সপ্তাহে ৩২ হাজার বিও অ্যাকাউন্ট বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২২, ০৩:০১ পিএম

ব্রোকার হাউজ। ছবি: সংগৃহীত

ব্রোকার হাউজ। ছবি: সংগৃহীত

নবায়ন ফি পরিশোধ না করায় নতুন (২০২২-২৩) অর্থবছরের প্রথম সাত কর্মদিবসে ৩১ হাজার ৮১৪টি বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট (বিও) হিসাব বন্ধ হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি বছরের ৩০ জুনের মধ্যে নির্ধারিত বার্ষিক নবায়ন ফি পরিশোধ করতে হয়।

বিও হিসাব সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল)-এর তথ্য মতে, জুলাই ২০২১ থেকে ৩০ জুন ২০২২ সাল পর্যন্ত সময়ে চার লাখ ৮৩ হাজার ৯টি বিও হিসাব বন্ধ হয়েছে।

বিনিয়োগকারীরা বলছেন, প্রত্যাশা অনুযায়ী নতুন অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতি ঘোষণার পর পুঁজিবাজার চাঙ্গা হয়নি। বরং প্রতিনিয়ত কমছে শেয়ারের দাম।ফলে তারা মূলধন হারাচ্ছেন।

সিডিবিএলের তথ্য মতে, ৩০ জুন ২০২২ পর্যন্ত সময়ে বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবের সংখ্যা ছিল ২০ লাখ ৫৩ হাজার ৪২২টি। এর মধ্যে দেশি বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা ছিল ১৯ লাখ ৬২ হাজার ৫৭টি। আর বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা ছিল ৭৫ হাজার ১৮০টি।

মাত্র সাত কর্মদিবসে সেখান থেকে বিও হিসাব কমে গতকাল বুধবার (১৩ জুলাই) দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ২১ হাজার ৬০৮টিতে। এর মধ্যে দেশি বিনিয়োগকারীর সংখ্যা ৩০ হাজার ২১৩টি কমে দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৩১ হাজার ৮৪৪টি। আর বিদেশি বিনিয়োগকারীর সংখ্যা ১ হাজার ৫৭২টি কমে দাঁড়িয়েছে ৭৩ হাজার ৬০৮টিতে।

পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতি বছর নবায়ন ফি পরিশোধ না করার কারণে একটা বড় সংখ্যার বিও বন্ধ করে দেয় বিএসইসি। তবে এক মাস পর থেকে আবার বিও অ্যাকাউন্ট বাড়তে থাকে। আবার কিছু বিনিয়োগকারী নিজে থেকে বিও বন্ধ করে পুঁজিবাজার ছেড়েছেন।

তবে আইপিওর শেয়ার পেতে এখন বিনিয়োগকারীদের শেয়ারের ৫০ হাজার টাকার বিনিয়োগ থাকতে হবে-এমন নিয়মের কারণে আইপিওতে আবেদনকারীদের সংখ্যা কমেছে বলেও মনে করেন অনেকে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh