কেনা জমিতে যেতে লাগলো আদালতের রায়, তবুও শঙ্কা

ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২২, ১১:২২ পিএম

ম্যাপ

ম্যাপ

ঢাকার ধামরাইয়ে ভাইয়ের কাছ থেকে জমি কিনেছিলেন মো. জোবায়ের খান। কিন্তু স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীর কারণে তাতে যেতে পারছিলেন না তিনি। বিষয়টি গড়ায় আদালত পর্যন্ত। আদালতের রায়ে প্রমাণিত হয়, তিনিই জমির বৈধ মালিক। চার বছর পর অবশেষে জমিতে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছেন তিনি। তবুও জমিতে যাওয়া নিয়ে রয়েছেন শঙ্কায়।

গত ২২ জুন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের বিচারক মো. মইনুল ইসলাম এক রায়ে বলেন, দুই পক্ষ হাজিরা দিয়েছেন। সকলের বক্তব্য শুনে ও কাগজাদি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এই জমিতে বাদী দখলে রয়েছেন। ফলে আদালত ভিন্ন কোনও আদেশ না দিলে এতে বাদী দখলে থাকবেন ও বিবাদী সেখানে প্রবেশ করবেন না।

এর আগে এ ঘটনায় ২০১৭ সালে আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়।

মামলা সূত্র ও জমিতে প্রবেশ করতে না পারায় ভুক্তভোগী জমির মালিকের করা বিভিন্ন দপ্তরে করা অভিযোগসূত্রে জানা যায়, প্রায় ৬ বছর আগে হেবা দলিলে ধামরাই থানার দক্ষিণপাড়া এলাকায় ১২.৫০ শতাংশ জমি কিনেছিলেন মো. জোবায়ের খান। কিন্তু ধামরাইয়ের ছয়বাড়িয়া এলাকার বাসু মিয়ার ছেলে ইউনুস আলী, নতুন দক্ষিণপাড়া এলাকার আলী আজম খানের স্ত্রী ফরিদা বেগমরা মিলে সেই জমি নিজেদের দাবি করে তাকে জমিতে ঢুকতে বাধা দেয় ও নানাভাবে হয়রানি করে। এমনকি তাকে প্রাণনাশের হুমকিও দেয়। এনিয়ে আতঙ্কিত হয়ে তিনি পুলিশের এসপি, ডিআইজিসহ বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দেন। পরে ২০১৭ সালে তিনি আদালতে একটি মামলা দায়ের করলে চলতি বছরে সেই মামলার রায়ে তিনি জমিতে যাওয়ার অনুমতি ফিরে পান।

আজ সোমবার (১৮ জুলাই) ভুক্তভোগী মো. জোবায়ের খান বলেন, বিবাদীরা প্রভাবশালী ও সন্ত্রাসী হওয়ায় আমাকে নানাভাবে নির্যাতন করে আসছিল। তাই আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি। অবশেষে আদালত আমার অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন ও আমাকে জমিতে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন। তবুও আমি আতঙ্কে রয়েছি যে, তারা জমি ও সেখানে থাকা আমার দোকানে যেতে দেয় কিনা। এজন্য প্রশাসনের সহায়তা চাই।

এ বিষয়ে ধামরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) আতিক রহমান বলেন, কেউ সহযোগিতা চাইলে আমরা অবশ্যই সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেব।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh