আদালতের পর্যবেক্ষণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০২২, ০৫:০৩ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
জে কে জি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান
ডা. সাবরিনা ও সিইও আরিফুল হক চৌধুরীসহ অন্য আসামিরা করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে
মানুষের জীবন নিয়ে খেলেছে বলে মন্তব্য করেছেন আদালত। মামলাটিতে রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা
হয়েছে, ‘এজন্য তাদের সাজা পাওয়া উচিত।’
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) দুপুরে
ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন রায়ের পর্যবেক্ষণে এসব কথা
বলেন।
রাষ্ট্রপক্ষের ঢাকা মহানগর
পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু রায় ঘোষণা শেষে সাংবাদিকদের বলেন, পর্যবেক্ষণে আদালত
বলেছেন- এই আসামিরা করোনা মহামারীতে মানুষের জীবন নিয়ে খেলেছেন। তারা কখনও অনুকম্পা
পেতে পারে না। তাই তাদের আদালত সাজা দিয়েছেন।
এদিন দুপুর সাড়ে ১২টায় ডা.
সাবরিনাসহ আট আসামিকে দণ্ডবিধির পৃথক তিন ধারায় ১১ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আব্দুল্লাহ আবু আরো জানান,
মামলাটিতে প্রত্যেক আসামিকে দণ্ডবিধির ৪০৩ ধারায় তিন বছর, ৪৬৬ ধারায় চার বছর ও ৪৭১
ধারায় চার বছর; সর্বমোট ১১ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এসব দণ্ড একটি শেষ হলে পরবর্তীটি
কার্যকর হবে বলে আদেশে বলা হয়েছে।
আলোচিত এই মামলায় রায় ঘোষণাকে
কেন্দ্র করে আজ সকাল সাড়ে ৮টায় কারাগার থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে
হাজির করা হয় আসামিদের। এরপর তাদের আদালতের হাজত খানায় রাখা হয়।
এর আগে, গত ২৯ জুন ঢাকার অতিরিক্ত
মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত উভয়পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে
রায় ঘোষণার জন্য আজকের (১৯ জুলাই) দিন ধার্য করেন। মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা
হলেন—
আবু সাঈদ চৌধুরী, হিমু, তানজিলা, বিপুল, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা।
মামলাটিতে মোট ৪০ জন সাক্ষীর
মধ্যে ২৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে।