অফিস করেও ওজন কমান

ডেস্ক রিপোট

প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২২, ০১:১২ পিএম

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

ওজন কমানো কঠিন কাজ। যারা ফুলটাইম অফিস করছেন, তাদের জন্য এটি আরও বেশি কঠিন। দিনের পুরোটা সময় অফিস করতে হলে শরীরচর্চা ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ধরে রাখা কষ্টকর।

ফাস্টফুড, জাঙ্কফুড সহজলভ্য ও দ্রুতই ক্ষুধা নিবারণ করে; যে কারণে এসব খাবারের দিকে ঝুঁকে পড়াটাই স্বাভাবিক। ফলে আপনার স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন কঠিন হয়ে পড়ে। জীবনযাপনে কিছু সহজ ও স্মার্ট পরিবর্তন এনে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন সম্ভব। এ ক্ষেত্রে  ফুলটাইম চাকরি কোনো প্রতিবন্ধকতা নয়। সারাদিন অফিসে কাটানোর পরও ওজন কমানো সম্ভব, কীভাবে? জেনে নেওয়া যাক-

খাবারের তালিকা নির্ধারণ : পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের ডায়েট চার্টের প্রধান উপকারিতা একটি হলো, তারা আপনার খাবারের পরিকল্পনা আগে থেকে ঠিক করে দেন। প্রধান খাবার ও হালকা নাশতায় কী থাকবে তা আগে থেকে ঠিক করা থাকলে অস্বাস্থ্যকর খাবার ও ফাস্টফুড এড়িয়ে চলা সম্ভব হয়। তবে প্রিয় ফাস্টফুড খাওয়ার জন্য সপ্তাহে একটি চিট ডে নির্ধারণ করতে পারেন। 

অস্বাস্থ্যকর নাশতা নয় : আপনি যদি মনে করেন যে, ব্যাগে থাকা চিপসের প্যাকেটটি পরবর্তী আধা ঘণ্টা কাজ করার জন্য শক্তি দেবে, তাহলে ভুল করছেন। এটি অস্বাস্থ্যকর এবং এ ধরনের অভ্যাস বাদ দিতে হবে। আপনি যদি অফিসে থাকাকালে একটু পর পর নাশতা খেতে থাকেন; তবে ওজন কমানো কঠিন হতে পারে। চকোলেট ও ক্যান্ডিতে পূর্ণ ড্রয়ারটি আপনার কাছে আকর্ষণীয় হতে পারে, তবে এটি আপনার কোমরের দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে দেবে। দিনের বেলা নাশতা হিসেবে বাদাম, ফল, দইয়ের মতো স্বাস্থ্যকর নাশতা বেছে নিতে পারেন।

অতিরিক্ত ক্যালরি নয় : অনেকেই আছেন যারা কফি ছাড়া কাজে মনোযোগী হতে পারেন না। আপনিও যদি তাদের দলের হন তবে আপনার জন্য ওজন কমানো কঠিন হয়ে যেতে পারে। অতিরিক্ত কফি বা চা পান করলে তা অতিরিক্ত ক্যালরি যোগ করতে পারে। এই পানীয়গুলোর সবচেয়ে খারাপ দিক হলো এতে চিনি যোগ করা। এক কাপ মিষ্টি কফিতে প্রায় ১০০ ক্যালরি থাকে। আপনি যদি দিনে ৩-৪ কাপ কফি পান করেন তবে তা আপনার ক্যালরির চাহিদার চেয়ে বেশি হয়ে যাবে। প্রতিদিন কফির পরিমাণ এক কাপে সীমাবদ্ধ রাখুন, সেই সঙ্গে চিনি ছাড়া ব্ল্যাক কফি পান করার অভ্যাস করুন। 

দৈনন্দিন কার্যকলাপ বাড়ানো : যদি অফিসে যাতায়াত করতে সময় লাগে এবং দিনে আট ঘণ্টা ডেস্কে কাজ করেন, তাহলে ব্যায়ামের জন্য সময় খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন হতে পারে। উপায় হলো একটি জিমে যোগ দেওয়া বা সকালে ব্যায়ামের জন্য সময় বের করা। যদি কোনোটাই সম্ভব না হয় তবে আপনার দৈনন্দিন কার্যকলাপ বৃদ্ধি করুন এবং দিনের বেলা যতটা সম্ভব হাঁটার চেষ্টা করুন। অফিসে যাওয়া-আসা করার সময় যতটুকু পথ সম্ভব হাঁটার চেষ্টা করুন এবং লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি ব্যবহার করুন। অফিসের কাজের ফাঁকে বিরতি নিয়ে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করুন। এসব ছোট ছোট পদক্ষেপ আপনাকে ক্যালরি পোড়াতে এবং একটি স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে সহায়তা করবে।- টাইমস অব ইন্ডিয়া

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh