তাহজীবুল আনাম, কক্সবাজার
প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২২, ০৩:১৯ পিএম
কুকুরের কারণে সৈকতের পরিবেশ নোংরা হচ্ছে। ছবি: কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকতে বেওয়ারিশ কুকুরের বিচরণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব কুকুরের কারণে সৈকতের পরিবেশ নোংরা হচ্ছে। সৈকতে ঘুরতে আসা পর্যটকরা এসব কুকুরের কারণে বিরক্তি প্রকাশ করছেন।
পর্যটকরা জানিয়েছেন, মনোরম একটি সৈকতে কুকুরের বিচরণ আসলেই অসুন্দর দেখায়। বেওয়ারিশ কুকুর এখন বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতের প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সৈকতের প্রায় পুরো এলাকায় কুকুরের আনাগোনায় বিড়ম্বনায় পড়তে হয় সবাইকে।
স্থানীয় লোকজন জানান, গত কয়েক বছর কুকুর কম দেখা গেলেও হঠাৎ এই সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। কুকুরের কারণে রাস্তায় চলাফেরা করতে কষ্ট হয়। সবচেয়ে বেশি আতঙ্কে থাকে ঘুরতে আসা শিশুরা। ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সৈকতে প্রায় ১০ হাজারের বেশি কুকুর রয়েছে বলে দাবি তাদের। সৈকতের ঝিনুক ব্যবসায়ী জহুরুল হক জানান, সৈকতে হঠাৎ কুকুরের উপদ্রব বেড়ে গেছে। কুকুরের কারণে পর্যটকরাও দোকানে আসতে চায় না।
ঢাকা থেকে আসা পর্যটক সুজন মিয়া বলেন, কক্সবাজার এসেছি সমুদ্রপাড়ে সময় কাটাতে; কিন্তু এখানে এসে আরও বিপাকে পড়ে গেলাম। খাবার হাতে নিলেই পিছু নেয় কুকুরগুলো। কোন সময় কামড় দেয়- এই আতঙ্কে থাকি।
রংপুর থেকে সপরিবার আসা মনিরুল ইসলাম বলেন, রাস্তা দিয়ে সমুদ্রের দিকে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ দুইটা কুকুর কামড়ে ধরে। ওই সময় পুলিশ বক্সে থাকা পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করে। এতে আমার ১২ বছরের শিশুকন্যা আলভীর ভয়ে জ্বর চলে এসেছে।
নাদিয়া ইসলাম নামে একজন জানান, সমুদ্রে নামার পর থেকে একটি কুকুর পিছু ছাড়ছিল না। শেষ পর্যন্ত হাতের খাবারগুলো কুকুরকে দিয়ে রক্ষা পেতে হয়েছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম জানান, বেওয়ারিশ কুকুরগুলোকে সাধারণত সৈকতে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। তবে হঠাৎ উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় কুকুরগুলোকে অন্য জায়গায় স্থানান্তরের চিন্তাভাবনা করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। সৈকতে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।