ইবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২২, ০৩:৫১ পিএম
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে লালন শাহ হলে সিট দখন নিয়ে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের নিজেদের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল শনিবার (২৪ জুলাই) রাত ১২টা থেকে ভোর পর্যন্ত থেমে থেকে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে প্রক্টরিয়াল বডি, পুলিশ ও ছাত্রলীগ নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ হলের ৪০৩ নম্বর কক্ষের বৈধ সিটে থাকেন অর্থনীতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শাকিল। ওই রুমে স্নাতকোত্তর শেষ বর্ষের আরো দুই শিক্ষার্থীদের বৈধ সিট রয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ সময় ওই দুই শিক্ষার্থী কক্ষের বাইরে অবস্থান করেন। ফলে ছাত্রলীগ কর্মী শাকিল ওই রুমে দুইজন শিক্ষার্থীকে অতিথি হিসেবে রেখেছেন। এদিকে গতকাল একই রুমে ২০২০-২১ বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে তোলার কথা বলেন হল ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজ।
এ নিয়ে ছাত্রলীগ কর্মী শাকিলের সাথে শনিবার রাত আনুমানিক ১২টার দিকে ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজের বাকবিতণ্ডা হয়। এ ঘটনার জেরে রাত তিনটার দিকে মোস্তাফিজ তার কয়েকজন কর্মী নিয়ে শাকিলকে মারধর করে। একই সাথে হল থেকে নেমে যাওয়ার জন্য হুমকি দেয় বলে অভিযোগ করেন শাকিল। এসময় হল ছাত্রলীগ নেতাকে মোস্তাফিজকে সহযোগিতা করেছেন ইসতিয়াক আহমেদ শাওন, মিরাজুল ইসলাম, আশিক, রাসেল ও রাফি।
পরে লালন শাহ হল ও অন্যান্য হল থেকে আসা শাকিলের বন্ধুরা মোস্তাফিজের ওপর চড়াও হলে তিনি লুকিয়ে পড়েন। এতে শাকিল ও তার বন্ধুরা ক্ষুব্ধ হয়ে করিডরে অবস্থান নেন এবং বিভিন্ন জায়গায় মোস্তাফিজকে খুঁজতে থাকেন। পরে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ছাত্রলীগ নেতা বিপুল হোসেন খান ও আলামিন জোয়ার্দার এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য ও পুলিশ।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগ কর্মী শাকিল বলেন, ‘দিবাগত রাত ১২টার দিকে মোস্তাফিজ ভাই এসে আমাকে হল থেকে নেমে যাওয়ার হুমকি দেয়। এসময় কারণ জানতে চাইলে তিনি আমার উপর ক্ষিপ্ত হন। পরে রাত তিনটার দিকে তিনিসহ কয়েকজন মিলে আমাকে মারধর করেন। এ ঘটনায় আমি শঙ্কিত।’
এ বিষয়ে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ওই ছেলে প্রতিনিয়ত বাহিরের কয়েকজন নিয়ে রুমে মাদকের আড্ডা বসায়। এটা নিয়ে বিরক্ত অন্য শিক্ষার্থীরা। ফলে ওই রুমে আমি এক জুনিয়রকে ওঠাতে যাই। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়েছে। আমি তাকে মারধর করিনি।’
এ বিষয়ে হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ওবাইদুল ইসলাম বলেন, ‘রাতেই ঘটনার বিষয়ে আমি অবগত হয়েছি। তাৎক্ষণিক প্রক্টরিয়াল বডিকে অবহিত করেছিলাম। পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়। আমরা লিগ্যালি শিক্ষার্থীদের সিট বণ্টন করতে চাই। কিন্তু অনেক সময় ব্যর্থ হতে হয়। এ ঘটনায় জড়িতদের নিয়ে মিটিং চলছে।’