উচ্চ শিক্ষায় থাকবে না বয়সের বাধা: শিক্ষামন্ত্রী

উচ্চ শিক্ষায় বয়সের কোনো বাধা থাকবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। রবিবার (২৪ জুলাই) রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে (আইসিসিবি) উত্তরা ইউনিভার্সিটির সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, কেউ সারা জীবন ধরে একটি বিষয় নিয়ে পড়ে, সেটি নিয়েই পড়ে থাকবে এমন নাও হতে পারে। কেউ নৃ-বিজ্ঞান পড়ছে, সে চাইলে ইঞ্জিনিয়ারিংও পড়তে পারবে। আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করছি।

তিনি বলেন,  আজকে সারা বিশ্বেই স্টাডি গ্যাপ নেওয়াকে স্বাভাবিক হিসেবে মানা হচ্ছে। এখন দেয়াল ভেঙ্গে ফেলার সময়, তুলবার নয়।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলায় সরকার শিক্ষার উন্নয়নে বিভিন্ন নীতিমালা করেছে। গবেষণাকে উৎসাহিত করার জন্য সরকার বিভিন্ন স্থানে গবেষণাগার তৈরি করেছে। গবেষকদের উৎসাহ দিতে তাদের গবেষণাপত্র বিদেশের বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশ করতে সহায়তা করছে সরকার।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের সৌভাগ্য যে, আমরা শেখ হাসিনার মতো নেতৃত্বের অধীনে চলেছি। যিনি বলেছিলেন ২০২১ সালের মধ্যে দেশ ডিজিটাল হবে, তিনি সেটা করেছেন। তিনি (শেখ হাসিনা) বলেছেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলবেন। আমরা সে পথেই এগুচ্ছি।

আগামী দিনে শুধু প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞানার্জনই পর্যাপ্ত হবে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আপনারা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি সফট স্কিল, লিডারশীপ, প্রবলেম সলভিং ইত্যাদি যোগ্যতা আপনাদের অর্জন করতে হবে। সবচেয়ে জরুরি যেটা, শিখতে শেখা অর্থাৎ শেখার যে আগ্রহ সেটি আপনাদের থাকতে হবে।

শিক্ষাক্রম থেকে ধর্ম বাদ দেওয়া হচ্ছে এমন প্রচারকে অপপ্রচার বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তিনি বলেন, শিক্ষাক্রম থেকে ধর্ম বাদ দেওয়ার বিষয়টি নিরেট মিথ্যাচার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে আমাদের আরো সচেতন থাকতে হবে। সারা পৃথিবীতে আজকে শিক্ষা ব্যবস্থার রূপান্তর ঘটছে। বাংলাদেশও এর বাইরে থাকবে না। এ লক্ষ্যে আমরা নীতিমালা তৈরি করছি।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য কর্তৃক প্রদত্ত ক্ষমতাবলে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি শিক্ষার্থীদের ডিগ্রি প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ।

আরো বক্তব্য রাখেন উত্তরা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আজিজুর রহমান ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন আরা লেখা। সমাবর্তন অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ আলী।