নিষেধাজ্ঞা শেষে মিলছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২২, ০৬:১৪ পিএম

ইলিশ। ছবি: ফাইল

ইলিশ। ছবি: ফাইল

৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হতেই জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে ইলিশ। যা নিয়ে দ্রুত ফিরছেন কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে। জেলেরা বলছেন, নিষেধাজ্ঞার পরপরই সাগরে ইলিশ ধরা পড়ায় দারুণ খুশি তারা। এদিকে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ইলিশ দেখে স্বস্তি ফিরেছে ব্যবসায়ীদের মাঝেও।

ট্রলারে বসে ইলিশ গুণছেন জেলেরা। গুনে গুনে তা ভরছেন ঝুঁড়িতে। আর বেচাবিক্রির জন্য দ্রুত তা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পন্টুনে।

৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে বাঁকখালী নদীর মোহনা দিয়ে বড় বড় ট্রলার যাচ্ছে সাগরে মাছ শিকারে। আবার কিছু কিছু ট্রলার ফিরছে কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে। প্রতিটি ট্রলারে দেখা যায় জেলেদের মুখে হাসি। তারা বলছেন, সাগরে জাল ফেলতেই ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ।

জেলেরা জানান, সাগরে জাল ফেলতেই মাছ ধরা পড়ছে। তারা এতে অনেক খুশি। এক একটা মাছের ওজন হবে দেড় কেজির মতো।

কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পন্টুন মৎস্য ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও জেলেদের হাঁকডাকে সরগরম। দীর্ঘদিন পর পন্টুনে ইলিশ দেখে ব্যবসায়ীদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। তবে দাম বাড়তি বলেও জানান তারা।

ব্যবসায়ীরা বলেন, মাছের সরবরাহ ভালো। তবে বড় মাছের দাম অনেক। ১০০ ইলিশের দাম ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা চাচ্ছে।

সরকারের ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার সুফল পাওয়ার কথা উল্লেখ করে এ বছর লাভবান হওয়ার আশা প্রকাশ করেন কক্সবাজারে মৎস্য ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ সমবায় সমিতির সভাপতি মো. ওসমান গণি টুটুল।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বদরুজ্জামান বলেন, গত ২০ মে থেকে নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছিল। গতকাল দিবাগত রাত ১২টায় নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে। এখন ইলিশের আকার ও ওজন বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, কক্সবাজারে লক্ষাধিক জেলে থাকলেও নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ৬৩ হাজারের বেশি। এছাড়া নিবন্ধিত নৌযানের সংখ্যা সাড়ে ৫ হাজারের বেশি।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh