দেশের মাটিতে পরীক্ষামূলকভাবে আনার, আপেল ও নাশপাতিসহ মিশ্র ফল চাষ করে সফল হয়েছেন প্রনব হালদার।
সৌখিন এ তরুণ স্নাতক চলমান অবস্থায় চাকরি আশায় না থেকে হয়েছেন কৃষি উদ্যোক্তা। পাশাপাশি করেছেন ফলের ব্যবসাও। পরীক্ষামূলক এই ফল চাষে সাফল্য পাওয়ায় সৌখিন অনেক ফল চাষিরা আগামীতে এফল চাষের কথা ভাবছেন। সেই অনুসারে অনেকেই ফল চাষের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন।
এ তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা নিজের বাড়ির ফসলী জমির মাটি কেটে কান্দিবেড় তৈরি করে গড়ে তুলেছেন দেশি ও বিদেশি ফল আনার, আপেল, নাশপাতি, আঙুর, পার্সিমন, অ্যাভোকাডো, ড্রাগন, আলুবোখারা, বিভিন্ন জাতের কমলালেবু ও মাল্টা সহ নানা জাতের সমৃদ্ধ মিশ্র ফল বাগান।
ডালিমের উন্নত জাতই হল আনার বা বেদানা। আনার বা বেদানা খুবই মিষ্টি এবং সুস্বাদু একটি ফল। জেলার সৌখিন চাষি ঝুঁকি নিয়ে এ নয়নাভিরাম ফল চাষের দৃশ্য দেখে অভিভূত হবেন যে কেউ।
দক্ষিণাঞ্চলে উপকূলীয় জেলা পিরোজপুরের উত্তরের জনপদ জলবায়ূ ও পরিবেশ বান্ধব নদ-নদী বেষ্টিত নাজিরপুর উপজেলার দেউলবাড়ি-দোবরা ইউনিয়নের মধুভাঙ্গা গ্রামে রোপণ করা হয় বিভিন্ন ধরনের এ ফল-ফলাদি।
সমৃদ্ধ জেলার নাজিরপুরে প্রনবের মতো ছোট ছোট কৃষি উদ্যোগে ফলভান্ডার হয়ে উঠছে এ পিরোজপুরে। তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা প্রণব হালদার জানান, চাকরির দিকে না ঝুঁকে নিজের প্রায় ৫৫ শতাংশ জমিতে দুই বছর আগে ভারত থেকে আনার, আপেল ও নাশপাতিসহ গাছের চারা ক্রয় করে রোপণ করেন।