নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২২, ১২:০৭ এএম
বাংলাদেশ ব্যাংক। ফাইল ছবি
বর্তমানে ১৫০ কোটি ডলারের রপ্তানির অর্থ বিদেশে আটকে আছে। আবার ৮৮০ কোটি ডলারের আমদানির দায় পরিশোধ হলেও পণ্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দেশে আসেনি। বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে ডলারের সংকট কাটাতে দেশের বাইরে থাকা রপ্তানির অর্থ দ্রুত দেশে ফেরত আনতে হবে। সরবরাহ বাড়াতে পণ্য দেশে আনতে হবে। একই সাথে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে আরো উদ্যোগ নিতে হবে।
আজ সোমবার (২৫ জুলাই) ব্যাংকগুলোর এমডিদের এমন নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সভাকক্ষে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সভাপতিত্বে ‘ব্যাংকার্স সভা’ নামে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সব ডেপুটি গভর্নর ছাড়াও ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিবির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি সেলিম আর এফ হোসেনসহ বেশিরভাগ ব্যাংকের এমডিরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে বৈদেশিক মুদ্রাবাজারের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি, ঋণ পুনঃতপশিল ও পুনর্গঠন বিষয়ে নতুন সার্কুলার এবং সিএমএসএমই খাতে ঋণ বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ডলারের ক্রান্তিলগ্ন পার করছে। এ সময়ে ব্যাংকগুলোকে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার সহায়তা দিচ্ছে। ব্যাংকগুলোকেও পরিস্থিতি মোকাবিলায় সহায়তা করতে বলা হয়েছে। বর্তমানে বিদেশে থাকা ১৫০ কোটি ডলারের রপ্তানি বিল ও ৮৮০ কোটি ডলারের আমদানি পণ্য দ্রুত দেশে আনতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দেশের আয়নার মতো, যা একেবারে কমানো যাবে না। রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বাড়ানোর ওপর ব্যাংকগুলোকে জোর দিতে হবে।
তিনি জানান, ঋণ পুনঃতপশিল ও পুনর্গঠন একটি ‘অপারেশনাল’ কার্যক্রম। এ নীতিমালা বাস্তবায়ন ব্যাংকগুলোর ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ নির্দেশনায় তারা (ব্যাংকগুলো) খুশি।
এবিবির চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, বৈদেশিক মুদ্রাবাজার ঠিক রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। এতে করে বাজারে অনেকটা স্থিতিশীলতা এসেছে। আগামীতে আরো কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বিশেষ করে আন্তঃব্যাংক বাজার আরও সচল করতে বলা হয়েছে।
তিনি জানান, হজ শেষ হয় যাওয়ায় ডলারের চাহিদা কিছুটা কমেছে। আবার আন্তর্জাতিক বাজারে ভোগ্যপণ্য ও তেলের দাম কমছে। ফলে আগামী দুই তিন মাসের মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রাবাজার আরও স্থিতিশীল হবে।
এবিবি চেয়ারম্যান আরো বলেন, ঋণ পুনঃতপশিলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিষদ নীতিমালা দিয়েছে। সে আলোকে এখন কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে দায়িত্ব ব্যাংকের। এ নির্দেশনা ব্যবহার করে গ্রাহককে ভালোভাবে সেবা দেওয়া যাবে। ঋণ সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা করা যাবে। যে ব্যাংকের সুশাসন নেই, তাদের দায় নিজেদের নিতে হবে। কোনো ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ নিয়ম না মেনে কিছু করলে সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জিরো টলারেন্সের কথা বলে দিয়েছে।