ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর হলো নিহতদের মরদেহ

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৩০ জুলাই ২০২২, ০১:০৬ এএম

মরদেহগুলো সারি করে দুর্ঘটনাস্থলের পাশে রাখা হয়েছে

মরদেহগুলো সারি করে দুর্ঘটনাস্থলের পাশে রাখা হয়েছে

ময়নাতদন্ত ছাড়াই মীরসরাইয়ে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ১১ জনের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশ। 

গতকাল শুক্রবার (২৯ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টা থেকে লাশ হস্তান্তর শুরু করে পুলিশ। নিহতদের স্বজনদের লিখিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পলিশ এ ব্যবস্থা গ্রহণ করে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) মো. হাসান চৌধুরী।

তিনি বলেন, এটি যেহেতু সড়ক দুর্ঘটনা। সেহেতু ওসি তার ক্ষমতাবলে নিহতদের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছেন।

এর আগে, মীরসরাইয়ে দুর্ঘটনায় নিহত ১১ জনের লাশ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানায় আনা হয়। 

চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ওসি মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘থানায় লাশ আনার পর এগুলো শনাক্ত করা হয়। এর আগে এসব লাশের সুরতহাল করা হয়। পরে নিহতদের স্বজনদের লিখিত আবেদনে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তর করা হয়।’

নিহত ১১ জনের মধ্যে রয়েছেন মোছহাব আহমেদ হিসাম, ওয়াহিদুল আলম জিসান,  সাজ্জাত হোসেন, শান্ত শীল, সমীরুল ইসলাম হাসান, মোস্তফা মাসুদ রাকিব, রিদুয়ান চৌধুরী, জিয়াউল হক সজিব, গোলাম মোস্তফা নিরু, ওয়াহিদুল আলম, ইকবাল হোসেন মারুফ। 

লাশ হস্তান্তরের সময় রেলওয়ে থানায় ছিলেন, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ সালাম, চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন মো. ইলিয়াছ চৌধুরী, রেলওয়ে পুলিশ সুপার মো. হাসান চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। 

এদিকে লাশ হস্তান্তরের সময় রেলওয়ে থানা এলাকায় এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণ হয়। কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা। একে একে ১১টি অ্যাম্বুলেন্সে করে এসব লাশ বাড়িতে নিয়ে যান স্বজনরা।

এরআগে, গতকাল শুক্রবার (২৯ জুলাই) দুপুরে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মহানগর প্রভাতী ট্রেন মীরসরাইয়ে পর্যটক বহনকারী একটি মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দেয়। হাটহাজারীর আমান বাজার এলাকায় অবস্থিত আর অ্যান্ড কোচিং সেন্টার থেকে মীরসরাইয়ে মাইক্রোবাসে করে বেড়াতে গিয়েছিলেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় আহত সাত জন চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

দুর্ঘটনায় আহত জুনায়েদ কায়সার ইমন বলেন, গাড়িটিতে চালক-হেলপারসহ ১৮ জন ছিলাম। এরমধ্যে আজমির, মাহিন, রিদয়, আয়াত, শওকত, মারুফ, হিসাম, আসিফ, শান্তি, হাসান, জিসান, রিদুয়ান, সজিব, রাকিব ও সাজাদ ছিল। এছাড়া একজন গাড়ি চালক ও হেলপার ছিল।

আহত ইমন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ২৪ নম্বর সার্জারি ওয়ার্ডের ১১ নম্বর সিটে চিকিৎসাধীন আছেন। 

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh