আগামী বছরের জুলাইয়ে চালু হবে বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ আগস্ট ২০২২, ১২:৫৮ এএম

ইতোমধ্যে প্রকল্পের ৭৮% এর বেশি কাজ শেষ হয়েছে। ফাইল ছবি

ইতোমধ্যে প্রকল্পের ৭৮% এর বেশি কাজ শেষ হয়েছে। ফাইল ছবি

বহুল প্রতীক্ষিত বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) ব্যবস্থা আগামী বছরের জুলাই মাসে চালু হবে বলে জানা গেছে। এটি চালু হলে ঢাকা ও গাজীপুরের মধ্যে যাতায়াতের সময় ৪০ মিনিটে নেমে আসবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

ঢাকা বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (ঢাকা বিআরটি) কোম্পানির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই প্রকল্পের  নির্মাণ কাজের ৭৮% এরও বেশি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এই বছরের শেষের দিকে বা আগামী বছরের শুরুর দিকে সমস্ত মৌলিক কাঠামো প্রস্তুত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এটি ঢাকা বিমানবন্দর থেকে গাজীপুরের শিববাড়ি পর্যন্ত চলবে। ২০১২ সালের নভেম্বর শুরু হওয়া ২,০৩৭.৯ কোটি টাকার প্রকল্পটি ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে শেষ হবে বলে আশা করা হয়েছিল। তবে বেশ কিছু কারণে সেটি পিছিয়ে যায়।

ঢাকা বিআরটি কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুল ইসলামের জানান, সর্বশেষ বর্ধিত সময়সীমা গত জুনে অনুমোদন পেয়েছে এবং প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪,২৬৮.৩ কোটি টাকা।

তিনি বলেন, আমরা আগামী বছরের জুলাই মাসে ঢাকা বিআরটি চালু করতে পারবো। ২০২৩ সালের মার্চের মধ্যে মূল কাঠামোর কাজ শেষ হবে।

বিআরটি চালু হওয়ার পর প্রতিদিন প্রায় ১৩০টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বৈদ্যুতিক বাস ঢাকা-গাজীপুর রুটে ৪,০০০ যাত্রী পরিবহন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সম্প্রতি প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন মোড়ে ছয়টি ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ। পিচ ঢালাইয়ের কাজ চলছিল।

ঢাকা বিআরটি কোম্পানির তত্ত্বাবধানে সড়ক ও জনপথ বিভাগ, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ প্রকল্পের বিভিন্ন অংশ বাস্তবায়ন করছে।

প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গাজীপুর থেকে ঢাকায় আসতে ২০.৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে দেড় থেকে তিন ঘণ্টা লেগে যায়। তবে বিআরটি চালু হলে মাত্র ৩৫ থেকে ৪০ মিনিটে যাতায়াত করা যাবে।

মেট্রো রেল ট্রানজিট (এমআরটি) প্রকল্পের মাধ্যমে মতিঝিল ও কমলাপুরের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় যাত্রীদের জন্য বিআরটিতে প্রবেশের কোনো সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন প্রকল্প কর্মকর্তারা।

ঢাকা বিআরটি কোম্পানির এমডি শফিকুল ইসলাম বলেন, বিআরটির যাত্রীরা দিয়াবাড়ির উত্তরা স্টেশন থেকে মেট্রোরেল পেতে একটি ডেডিকেটেড বাস পাবেন।

ডেডিকেটেড লেন ব্যবহারের কারণে বিআরটি বাসগুলেণা ২-৫ মিনিটের ব্যবধানে ২৫টি স্টেশন থেকে যাত্রী পরিবহন করবে। যাত্রীদের সুবিধার জন্য স্টেশনগুলোতে ই-টিকিট সিস্টেম, স্বয়ংক্রিয় টিকিট কাউন্টার এবং একটি ইন্টেলিজেন্ট ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম থাকবে।

বিআরটি ভবিষ্যতে উল্লেখযোগ্য সুফল বয়ে আনবে বলে প্রতিশ্রুতি দিলেও নির্মাণ কাজের কারণে সড়ক সংকীর্ণ হওয়ায় রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে যানজট উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh