ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭ আগস্ট ২০২২, ০৯:২৯ পিএম | আপডেট: ০৭ আগস্ট ২০২২, ০৯:৫১ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
ফের হার। এবার জিম্বাবুয়ের
বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজেও হেরে গেলেন টাইগাররা। রবিবার (৭ আগস্ট) হারারেতে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে
৫ উইকেটে বাংলাদেশকে হারিয়ে সিরিজ জিতেছে জিম্বাবুয়ে।
তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের
দুটোতেই অর্ধশতক হাঁকিয়ে স্বাগতিকদের সিরিজ জয়ের উল্লাসে ভাসানোর নায়ক রাজা। ওয়ানডে
সিরিজে আরো বিধ্বংসী রূপে এই ডানহাতি। প্রথম ম্যাচে ৩০৪ রান টপকাতে নেমে হার না মানা
১৩৫ রানের ইনিংস খেলে জেতান দলকে। আজ রবিবার দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের দেওয়া ২৯১ রানের
লক্ষ্য তাড়ায় নেমেও দলকে ৫ উইকেটের জয় এনে দেন, শতক হাঁকিয়ে খেলেন ১১৭ রানের ইনিংস।
অনবদ্য রাজার কল্যাণে ২০১৩ সালের পর, অর্থাৎ দীর্ঘ ৯ বছর পর বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের স্বাদ পেল জিম্বাবুয়ে। একই সাথে উড়তে থাকা লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের টেনে হেঁচড়ে মাটিতে নামাল তারা। সম্প্রতি একদিনের ক্রিকেটে রীতিমত অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিল টাইগাররা। নিজেদের খেলা শেষ ৫ ওয়ানডে সিরিজের সবগুলোতেই জয়। যার মধ্যে আছে শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা, উইন্ডিজের মতো দল।
এদিন অবশ্য জিম্বাবুয়ে হয়ে শতক পেয়েছেন তাদের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক রেজিস চাকাভা। ৫৫ ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটি তার অভিষেক সেঞ্চুরি। এ ম্যাচে রাজা-চাকাভা মিলে গড়েছেন অনবদ্য এক রেকর্ড। পঞ্চম উইকেট পার্টনারশিপে দুইজন যোগ করেন ২০১ রান। আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে পঞ্চম উইকেটে এর আগে দুইশ রানের জুটি ছিল না তাদের। দেশটির হয়ে যেকোনো উইকেটে তাদের এই জুটি পঞ্চম সর্বোচ্চ।
ব্যাটিংয়ে এমন রাজকীয় ইনিংস খেলার পাশাপাশি বল হাতেও কম যাননি রাজা। ১০ ওভারে কোটা পূর্ণ করে ৫৬ রান দিয়ে একাই নেন ৩ উইকেট। যা জিম্বাবুয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ।
এমন ম্যাচ জেতানো ইনিংসের জন্য রাজা চাইলে মেহেদী হাসান মিরাজকে বড় করে একটা ধন্যবাদ দিতেই পারেন। ইনিংসের ২৬তম ওভারের দ্বিতীয় বলটি অনসাইডে খেলেন রাজা। ননস্ট্রাইক প্রান্তে থাকা চাকাভা রান নিতে দৌড়ান। রাজা ততক্ষণে দেরি করে ফেলেন। ফিল্ডার দ্রুত ননস্ট্রাইক প্রান্তে থাকা বোলার মিরাজকে বল দেন। রাজা পৌঁছার আগেই মিরাজ উইকেট ভাঙেন ঠিকই কিন্তু সে হাতে বল ছিল না। নিশ্চিত রানআউট থেকে বেঁচে যান রাজা। ৪২ রানে পান নতুন জীবন।
সেই রাজা আর চাকাভা বাংলাদেশের দেওয়া ২৯১ রানের টার্গেটে নেমে ২০১ রানে পার্টনারশিপ গড়ে দলকে জেতান। যদিও তাদের ইনিংসের শুরুটা ভালো হতে দেননি বাংলাদেশি বোলাররা। ইনিংসের তৃতীয় বলেই কাইটানোকে শূন্য রানে ফেরান একাদশে ফেরাম হাসান মাহমুদ। তৃতীয় ওভারে আবার আঘাত এই ডানহাতি পেসারের। আউটসাইড অফে পিচ করা বলে পরাস্ত কাইয়া। ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় মুশফিকের হাতে। আগের ম্যাচে শতক হাঁকিয়ে জিম্বাবুয়েকে জেতানো কাইয়া, এবার দ্রুত বিদায় নেন।