লটকন এক প্রকার দেশীয় ও হলুদ রঙের ছোট্ট গোলাকার ফল। টক-মিষ্টি রসালো এই ফলটি ছোট হলেও এটি পুষ্টি ও ঔষধিগুণে ভরপুর। লটকন স্বল্প সময়ের ফল। বর্ষা মৌসুমে এই ফলটি বাজারে সহজলভ্য হয়। এখন রাস্তাঘাটে সব জায়গায় মিলছে এই ফলটি।
জেনে নেওয়া যাক লটকনের পুষ্টি ও ঔষধিগুণ বিষয়ে-
- লটকন অত্যন্ত পুষ্টিকর ও সুস্বাদু একটি ফল। পরিপক্ব লটকনের প্রতি ১০০ গ্রাম শাঁসে আছে ১.৪২ গ্রাম আমিষ, ০.৪৫ গ্রাম চর্বি, ০.৯ গ্রাম খনিজ পদার্থ, ০.৩ গ্রাম লৌহ এবং ৯১ কিলো ক্যালরি খাদ্যশক্তি।
- লটকনে রয়েছে ০.০৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি১ এবং ০.১৯ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি২। সাধারণত লটকনকে ভিটামিন বি২ সমৃদ্ধ ফল বলা হয়ে থাকে। ভিটামিন বি২ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন, যা শরীরের জন্য খুব প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। বেরিবেরি রোগ থেকে দূরে রাখে লটকন।
- রক্ত ও হাড়ের জন্য বিশেষ উপকারী লটকন। কারণ এতে থাকে আয়রন। প্রতি ১০০ গ্রাম লটকনে ৫.৩৪ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে।
- লটকনে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। দিনে দু-তিনটি লটকন খেলে শরীরের ভিটামিন সির চাহিদা পূরণ হয়। ভিটামিন সি ত্বক, দাঁত ও হাড় সুস্থ রাখে।
- এই ফলে চর্বি অত্যন্ত কম থাকায় ও কোনো শর্করা নেই বিধায় সব বয়সের মানুষ নিশ্চিন্তে খেতে পারেন।
- খাদ্যশক্তির ভালো উৎস লটকন। প্রতি ১০০ গ্রাম লটকনে ৯২ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি পাওয়া যায় যা আমাদের জাতীয় ফল কাঁঠালের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।
- লটকনের যেমন পুষ্টিগুণ রয়েছে তেমনি তার ঔষধিগুণও রয়েছে। লটকন গা গোলানো ও বমি বমিভাব দূর করতে পারে। পাশাপাশি মানসিক অবসাদ দূর করতেও সাহায্য করে।
- লটকনের পাতা ও শিকড় খেলে পেটের নানারকমের অসুখ ও জ্বর ভালো হয়ে যায়।
- লটকন টক মিষ্টি ফল, তাই এই ফল খেলে আমাদের মুখের স্বাদ বৃদ্ধি পায় এবং খাবারের রুচি বাড়ে।