৭ দল মিলে নতুন রাজনৈতিক জোট ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’

সাতটি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত নতুন রাজনৈতিক জোট ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ আত্মপ্রকাশ করেছে। আজ সোমবার (৮ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রবের সভাপতিত্বে এই জোটের আত্মপ্রকাশ ঘটে।

গণতন্ত্র মঞ্চের সাতটি দল হলো- আ স ম আবদুর রবের নেতৃত্বাধানী জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বাধীন নাগরিক ঐক্য, সাইফুল হকের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, জোনায়েদ সাকির নেতৃত্বাধীন গণসংহতি আন্দোলন, ড. রেজা কিবরিয়ার নেতৃত্বাধীন গণ অধিকার পরিষদ, রফিকুল ইসলাম বাবলুর নেতৃত্বাধীন ভাসানী অনুসারী পরিষদ ও  হাসনাত কাইয়ুমের নেতৃত্বাধীন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।

গণতন্ত্র মঞ্চের রূপরেখা বলা হয়েছে, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা এবং অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করতে হবে এবং একটি রাজনৈতিক ঐক্যমতের ভিত্তিতে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।

এতে আরো বলা হয়, রাষ্ট্রের তিন অঙ্গ- সংসদ, নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা ও সরকারের জবাবদিহিতার কার্যকরী ব্যবস্থা গড়ে তোলা। সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ও দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট ব্যবস্থার জন্য প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক সংস্কার। একইসাথে ফেডারেল পদ্ধতির সরকারব্যবস্থা বিষয়ে আলোচনার জন্য জাতীয় কমিশন গঠন।

এছাড়া বিচার বিভাগের পরিপূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, নিম্ন আদালতকে নির্বাহী বিভাগ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা করে তার পরিচালনা ও তদারকি উচ্চ আদালতের হাতে ন্যস্ত করা, প্রধান বিচারপতিসহ বিচারক নিয়োগ ও পদোন্নতির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নের কথাও বলা হয় জোটের রূপরেখায়।

অন্যদিকে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা; মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের নীতিতে রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের জীবন ও মর্যাদা নিশ্চিত করা এবং দেশে ব্যাপক কর্মসংস্থানস ও অর্থনীতির টেকসই প্রকৃতিবান্ধব ভিত্তি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সকল জনগণের জন্য সমান সুযোগের নিশ্চয়তা তৈরির কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।

নতুন জোটের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে জেএসডি সভাপতি আ স ম  রব বলেন, ষড়যন্ত্র নয়, সরাসরি ঘোষণা করে সরকার বিরোধী আন্দোলন করবে গণতন্ত্র মঞ্চ। সরকার বিরোধী লড়াইয়ের বিকল্প নেই। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সবাইকে সংগ্রামে অংশ নিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

রূপরেখা উপস্থাপন শেষে গণতন্ত্র মঞ্চের পক্ষ থেকে আগামী ১১ আগস্ট রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।