আনন্দময় বিস্ময় নদী-টিটি

কাজী সানজীদ

প্রকাশ: ০৮ আগস্ট ২০২২, ০২:৩২ পিএম

ছবি : কাজী সানজীদ

ছবি : কাজী সানজীদ

লম্বা পায়ের অধিকারী টিটি একটি অন্যতম দৃষ্টিনন্দন পাখি। মোট পাঁচ প্রজাতির টিটি এদেশে দেখা যায়। এগুলোর তিনটি স্থানীয়, দুটি পরিযায়ী। স্থানীয় তিনটি হচ্ছে হট-টিটি, হলদেগাল-টিটি এবং নদী-টিটি। প্রথম দুটি দেখা গেলেও, শেষেরটি আগে কখনো ঢাকায় বা তার আশেপাশে দেখা যায়নি।

নদী-টিটির ইংরেজি নাম জরাবৎ খধঢ়রিহম. এদেরকে প্রধানত রাজশাহী বিভাগেই দেখতে পাওয়া যায়। ২০১৯ সালে সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম একজোড়া নদী-টিটি ঢাকার উপকণ্ঠে পূর্বাচলের গাজীপুর অংশে দেখতে পেলে সঙ্গে সঙ্গে তা বরেণ্য পাখিবিদ ইনাম আল হককে জানাই। তিনি জানান তাঁর তিরিশ বছরের পাখি পর্যবেক্ষণ জীবনে কখনো নদী-টিটি ঢাকা বা তার আশেপাশে দেখেননি। পর দিনই তিনি সেখানে গিয়ে পাখি দুটি দেখেন এবং তা নিয়ে ডেইলি স্টারে প্রাণবন্ত নিবন্ধ লেখেন।

পরের বছর অর্থাৎ ২০২০-এর সেপ্টেম্বর মাসে আবারও একই স্পটে নদী-টিটির আগমন ঘটে, এবার পাঁচটি। তারপর ২০২১ সালে তাদেরকে দেখিনি, আশাও ছেড়ে দিয়েছিলাম। সে স্পটটিতে রেস্টুরেন্ট তৈরি হয়েছে এবং মানুষের চলাচলও বেড়েছে। এই পরিবেশে ওরা আর আসবে না বলেই ধরে নিয়েছিলাম। এ বছর জুলাই মাসে একই স্পটে গিয়ে দেখি আবারও পাঁচটি নদী-টিটির আগমন ঘটেছে। দেখে গভীর আনন্দের সঙ্গে আতঙ্কও মনে ভর করে। আশঙ্কা হয়, মানুষের দ্বারা এরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে অথবা পরিবেশ দেখে হয়তো এদের এই অঞ্চলে শেষ ভ্রমণ। আশঙ্কাই সত্যি হলো। এরপর আরও তিন দিন গিয়ে এগুলোকে আর দেখিনি। কিছুদিন আগেও হুমকিমুক্ত এই প্রজাতির পাখিকে আইইউসিএন বর্তমানে হুমকির কাছাকাছি মনে করে। কারণ হিসেবে মানুষের নদী দখল এবং বাঁধ নির্মাণকে শনাক্ত করা হয়েছে। পূর্বাচলেও তার ব্যত্যয় ঘটেনি।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh