এম এম আরিফুল ইসলাম, নাটোর
প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২২, ০৩:৪১ পিএম
নাটোর জেলার মানচিত্র
নাটোরের লালপুরে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে মাশরুমের চাষ শুরু হয়েছে। স্নাতক শেষ করে চাকরির পেছনে না ছুটে মাশরুম চাষে স্বপ্ন বুনছেন উপজেলার গোপালপুর পৌর এলাকার কালুপাড়া গ্রামের তরিকুল ইসলাম। প্রতিদিনই বাড়ছে তার প্রকল্পে উৎপাদিত মাশরুমের চাহিদা।
সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে বৃহত্তর পরিসরে মাশরুমের চাষের পরিকল্পনা আছে তার। রাজশাহী কলেজ থেকে উদ্ভিদ বিজ্ঞানে স্নাতক করে ঢাকাস্থ মাশরুম উন্নয়ন ইন্সটিটিউট থেকে প্রশিক্ষণ শেষে স্বল্প পুঁজি নিয়ে ‘ফেন্ডস মাসরুম সেন্টার’ নামে মাশরুম চাষের পরীক্ষামূলক প্রকল্প হাতে নেন। মাস চারেক আগে পরিত্যক্ত ঘরে ছোট পরিসরে ৭৪টি স্পন প্যাকেট নিয়ে মাশরুম চাষ শুরু করেন। ২৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে মাশরুম পান তিনি। বর্তমানে তরিকুলের খামারে এক হাজারের অধিক মাশরুমের স্পন প্যাকেট রয়েছে। যার বীজ তিনি নিজেই তৈরি করেছেন।
তরিকুল ইসলাম বলেন, স্নাতক শেষ করে চাকরির পেছনে না ছুটে বৃহত্তর পরিসরে মাশরুম প্রকল্প করার সিদ্ধান্ত নেই। মাত্র ১৫শ’ টাকা দিয়ে পরীক্ষামূলক মাশরুম প্রকল্প শুরু করেছি, এ থেকে প্রায় ৩০ হাজার টাকার মাশরুম বিক্রি হবে। ইতোমধ্যে মাশরুম ফলন দিচ্ছে, মাশরুমের চাহিদাও বাড়ছে।
তিনি আরও বলেন, মাশরুম উৎপাদনের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রজাতির মাশরুম বীজ (স্পন) উৎপাদন করছি। প্রকল্প আস্তে আস্তে স্পন বৃদ্ধি করছি। আমার মাশরুম চাষ দেখে এলাকার অনেক বেকার যুবক মাশরুম চাষে আগ্রহী হচ্ছে।
লালপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান বলেন, এ অঞ্চলের আবহাওয়া ও জলবায়ু মাশরুম চাষের উপযোগী। ঘরের পাশে অব্যবহৃত জায়গা ও ঘরের বারান্দা ব্যবহার করেও মাশরুম উৎপাদন করা যায়। এটা চাষে আমাদের সার্বিক সহযোগিতা থাকবে।