জোয়ারের পানিতে প্লাবিত ভোলার নিম্নাঞ্চল, জনজীবনে দুর্ভোগ

ভোলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৫ আগস্ট ২০২২, ০৭:০৭ পিএম

জোয়ারের পানিতে প্লাবিত ভোলার নিম্নাঞ্চল। ছবি: ভোলা প্রতিনিধি

জোয়ারের পানিতে প্লাবিত ভোলার নিম্নাঞ্চল। ছবি: ভোলা প্রতিনিধি

গত ছয়দিন ধরে বৈরী আবহাওয়ার প্রভাবে ৫-৬ ফুট জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হচ্ছে ভোলার নিম্নাঞ্চল। ফলে জনজীবনে নেমে এসেছে দুর্ভোগ।

আজ সোমবার (১৫ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে ফের জোয়ারের পানিতে মনপুরার কাজিরচর, কলাতলীর চর এবং চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচর ও চর নিজামসহ অন্তত ১৫ গ্রাম তলিয়ে গেছে।

জোয়ারের পানিতে বসতঘর, ফসল ও মাছের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। গত ৬ দিন ধরে একই অবস্থা চলছে অথচ উপজেলা প্রশাসন কিংবা ইউনিয়ন পরিষদের কেউ তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়ায়নি। ঘরের ভেতর পানি প্রবেশ করে চুলা ডুবে যাওয়ায় রান্না করে খেতে পারছে না মানুষ।

মনপুরা উপজেলার কাজিরচরের মো. সিরাজ মিয়া জনান, আজ সাত-আট দিন আমরা বারবার জোয়ারের পানিতে ডুবে যাচ্ছি। রাস্তা-ঘাট ডুবে যাওয়ায় চলাচল করতে পারছি না। চুলা ডুবে থাকায় রান্না-বান্না হচ্ছে না। খেতে না পেরে আমরা চরম কষ্টে আছি। চরাঞ্চলে শুকনো খাবারও নেই। যে কারণে আমরা বলতে গেলে একেবারে না খেয়ে আছি।

জোয়ারের পানিতে প্লাবিত ভোলার নিম্নাঞ্চল। ছবি: ভোলা প্রতিনিধি

তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমাদের জন্য ভাল খাবারের পানিও নেই। প্রশাসন কিংবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বার কেউই আমাদের পাশে এসে দাঁড়ায়নি। জোয়ারের পানি নামার সময় আমাদের এলাকায় ব্যাপক ভাঙন হচ্ছে, বসত-বাড়িও চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছি।

চরফ্যাশনের ঢালচরের ইসরাফিল হাওলাদার জানান, বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে ঢালচরে ডুবে যাওয়া দুটি ট্রলারের নিখোঁজ ৯ জেলের সন্ধান ছয় দিনেও পাওয়া যায়নি।

বিগত বছরগুলোর চেয়ে এবার পানির পরিমাণ বেশি হওয়ায় চরবাসীর মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। এসব চরগুলোতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ না থাকায় নিম্নাঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষ দুর্ভোগের শিকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।

ভোলা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন জানান, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে সাহায্যের জন্য কোনো আবেদন পাওয়া যায়নি। উপজেলা প্রশাসন থেকে আবেদন পাওয়া গেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh