নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬ আগস্ট ২০২২, ০৯:৫৫ এএম
লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ডিমের দাম। ছবি: সংগৃহীত
নিত্যপণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধিতে দিশেহারা সাধারণ জনগণ। গত কয়েকদিন ধরে লাফিয়ে বাড়ছে ডিমের দাম। খুচরা বাজারগুলোতে এক হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫৪-৫৬ টাকায়। ফলে চড়া দামের বর্তমান বাজারে ভোক্তাকে একটি ডিম কিনতেই খরচ করতে হচ্ছে সাড়ে ১৩ থেকে ১৪ টাকা।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচাবাজারগুলোতেও ডজনপ্রতি বেড়েছে ডিমের দাম। এক ডজন লাল ডিমে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে ১৫০ টাকায়। সাদা ডিমের ডজন ১৫০ টাকা, দেশি ২১০ টাকা ও হাঁসের ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা দরে।
মোহাম্মদপুর কাঁচাবাজারের ডিম ব্যবসায়ী আনোয়ার মিয়া বলেন, খামারে বিদ্যুৎ থাকে না। জেনারেটর দিয়ে আলোর ব্যবস্থা করা হয়। ডিজেলের দামও বাড়তি। মুরগির খাবারের দাম বেড়েছে, প্রোডাকশনও কম। অন্যদিকে বাজারে বাজারে ডিমের চাহিদা অনেক। এসব কারণেই দামও বাড়তি। এছাড়া খামারিদের অনেকে আগে লোকসান দিয়েছেন, এখন বাড়তি দামে বেচতে না পারলে তাদের ব্যবসা টিকবে না। বিশেষত জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পরই সব জিনিসের মতো ডিমের দামও বেড়েছে।
তেজগাঁওয়ের ডিম ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতির প্রচার সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে সবকিছুরই দাম বাড়তি। সে হিসেবে মুরগির খাবার, ওষুধ ও ভ্যাকসিনের দাম আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। মুরগির প্রিয় খাবার সয়াবিনের দামও বাড়তি। এ কারণে গত দুই বছর পোল্ট্রি খামারিদের অনেকে ব্যবসায় ভর্তুতি দিয়েছেন। ছোট খামারিদের অনেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছেন। এসব কারণে উৎপাদন যেমন কমেছে, বাজারে ডিমের জোগানও এখন কম। বিপরীতে বেড়েছে চাহিদা। তাই দামও বেড়ে গেছে।
এদিকে মুরগির খাবারের দাম ও পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়াকে ডিমের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ করছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (খামার) জিনাত সুলতানা বলেন, বিশ্ববাজারে সব খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে। ভুট্টা ও সয়াবিনের দাম কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। যে খাবারগুলো মুরগিকে খাওয়ানো হয়। এছাড়া লোডশেডিংয়ের কারণে ডিজেলের ব্যবহার বেড়েছে। এতে খামারিদের খরচ অনেকাংশে বেড়ে হেছে। এসব কারণে ডিমের উৎপাদন যেমন কমেছে, দামও বেড়েছে। বাজার স্বাভাবিক হলে এ ভোগ্যপণ্যটির দাম কমে আসবে।