কূটনীতিকের ‘মারিজুয়ানা কাণ্ড’
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬ আগস্ট ২০২২, ১১:১১ এএম
জাকার্তা থেকে প্রত্যাহারকৃত বাংলাদেশি কূটনীতিক কাজী আনারকলি। ছবি: ফাইল
‘মারিজুয়ানা কাণ্ডে’ জাকার্তা থেকে প্রত্যাহারকৃত বাংলাদেশি কূটনীতিক কাজী আনারকলির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় বিভাগীয় মামলা করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইন অনুবিভাগ। পাশাপাশি তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। এর আগে তার বহিঃবাংলাদেশ ছুটি বাতিল করা হয়।
জানা যায়, ইন্দোনেশিয়ায় বাংলাদেশের উপ-রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বপালনকারী কাজী আনারকলির দক্ষিণ জাকার্তার বাসভবনে নিষিদ্ধ মাদক মারিজুয়ানা রয়েছে এবং নাইজেরিয়ান বয়ফ্রেন্ডসহ তিনি তা নিয়মিত সেবন করেন এমন অভিযোগে দেশটির মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ গত ৫ই জুলাই অভিযান চালায়।
ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী দায়মুক্তির আওতাধীন থাকলেও সুনির্দিষ্ট তথ্য থাকায় ইন্দোনেশিয়ান মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ সেটি উপেক্ষা করেই তার অ্যাপার্টমেন্ট টাওয়ারে অভিযান চালায় এবং তাকে আটক করে নিয়ে যায়।
প্রায় ২৪ ঘণ্টা তিনি ইন্দোনেশিয়ার মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের ডিটেনশন সেন্টারে বন্দি ছিলেন। সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং ডোপ টেস্ট করা হয়। পরে কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় তিনি মুক্তি পান। দূতাবাসের জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
এরপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজী আনারকলিকে প্রত্যাহার করে ঢাকায় ফিরিয়ে আনে ও প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে। ওই তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, কূটনীতিক আনারকলি পররাষ্ট্র ক্যাডারের ২০ ব্যাচের কর্মকর্তা। নাইজেরিয়ান ব্যবসায়ী উইলিয়াম ইরোমেসিলি বেনেডিক্ট ওসিগবেমকে নিয়ে তিনি জাকার্তায় বসবাস করতেন।
তথ্য পাচার তথা বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে পররাষ্ট্র ক্যাডারের কোনো কর্মকর্তার বিদেশি বিয়ে বারণ। বিশেষ পরিস্থিতিতে বিয়ে করতে হলে অবশ্যই উপযুক্ত কারণ ব্যাখ্যা করে সরকারের আগাম অনুমতি নিতে হয়।