নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২২, ০৬:১৮ পিএম
সভার জন্য বানানো মঞ্চ, চেয়ার ভাংচুরের অভিযোগ। ছবি: নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীর চাটখিলে বিএনপির ডাকা প্রতিবাদ সভার জন্য বানানো মঞ্চ, চেয়ার ভাংচুর করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় চাটখিল উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু হানিফ ও সদস্য সচিব শাহজাহান রানাসহ ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয় বলে দাবি করছে বিএনপির সিনিয়র নেতারা।
আজ শুক্রবার (২৬ আগস্ট) দুপুর পৌনে ২টার দিকে চাটখিল পৌরসভার চাটখিল আলিয়া মাদরাসা প্রাঙ্গণে মঞ্চ ভাংচুরের এ ঘটনা ঘটে। এতে বিএনপির জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ডাকা প্রতিবাদ সভা পন্ড হয়ে যায়। তবে সরকারি দলের নেতাকর্মীদের তাণ্ডব উপেক্ষা করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনের নেতৃত্বে চাটখিল বাজারের পূর্ব পাশে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।
চাটখিল উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শাহজাহান রানা বলেন, শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। জুমআর নামাজ শেষ হওয়ার সাথে সাথে আসম্মিক উপজেলা ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতাকর্মীরা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের মদদে আমাদের প্রতিবাদ সভার মঞ্চ ভেঙে তছনছ করে দেয়। তখন আমরা নামাজে ছিলাম। বিএনপির কোনো নেতা-কর্মী সেখানে ছিলেন না।
তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা আগ্নেয়াস্ত্র হাতে মঞ্চ ভাংচুর ও বিএনপির নেতাকর্মীর ওপর হামলা চালায়। বিভিন্ন ইউনিয়নের সরকারি দলের নেতাকর্মীরা আমাদের এ প্রতিবাদ সমাবেশকে বানচাল করতে অস্ত্র হাতে মোটরসাইকেল নিয়ে মহড়া দেয়। চাটখিল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ন কবিরের সামনে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়। ওই সময় পুলিশ কোনো ভূমিকা রাখেনি।
কেন্দ্রীয় বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, জ্বালানি তেল এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে চাটখিল পৌরসভার এলাকার আলিয়া মাদ্রাসার সামনে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বিকেলের এ সভার জন্য সকাল থেকে প্যান্ডেল ও মঞ্চ বানানো হয়। জুম্মার নামাজের শেষ হওয়ার সাথে সাথে হঠাৎ অস্ত্রধারী উপজেলা ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মী এসে হামলা চালিয়ে মঞ্চ, চেয়ার ও ভাঙচুর করেন। এসময় পুলিশ নিরব ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। প্রতিবাদ সভায় আসার পথে বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে আমাদের ৩০ জন নেতাকর্মীকে আহত করা হয়। ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ সভাস্থল ঘিরে রাখায় আমরা প্রতিবাদ সভা করতে পারিনি।
নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন বলেন, গত তিনদিন ধরে নোয়াখালীর বিভিন্ন উপজেলায় বিএনপি প্রতিবাদ সভা করেছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিএনপির প্রতিবাদ সভা পন্ড করার কোনো নির্দেশনা নেই। তবে চাটখিল উপজেলা বিএনপির মধ্যে দুটি গ্রুপ রয়েছে। তারা নিজেদের মধ্যে কোন্দলের কারণে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবাদ সভাস্থলে ছাত্রলীগ-যুবলীগের কোনো নেতা-কর্মী হামলা করেনি বলে তিনি দাবি করেন।
বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিনের খোকনের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি।