নির্বাচন কমিশনের ওপর মানুষ আস্থা হারিয়েছে : সুজন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২২, ০৪:৪৬ পিএম

জাতীয় নির্বাচনে ইভিএমের উপযোগিতা শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তরা

জাতীয় নির্বাচনে ইভিএমের উপযোগিতা শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তরা

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম বলেছেন, ১৫০ আসনে ইভিএম দেওয়ার সিদ্ধান্তে কমিশনের ওপর মানুষ আস্থা হারিয়েছে। নির্বাচন কমিশন কী উদ্দেশ্যে এমন কাজ করছে তা আমাদের বোধগম্য নয়।

রবিবার (২৮ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খা হলে জাতীয় নির্বাচনে ইভিএমের উপযোগিতা শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

বদিউল আলম বলেন, দেশের সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক দল ও গণমাধ্যমসহ অধিকাংশ ব্যক্তি ইভিএমের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেও কারও কথা না শুনে নির্বাচন কমিশনার ১৫০ আসনে ইভিএমে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি কী উদ্দেশ্যে এমন কাজ করছেন তা আমাদের বোধগম্য নয়।

তিনি বলেন, ইভিএম একটি দুর্বল যন্ত্র। নির্বাচন কমিশন বলছে ইভিএমে কারচুপির সুযোগ নেই। এটি নির্ভুল প্রমাণের দায়িত্ব কমিশনের। ইভিএমের নিয়ন্ত্রণ বাইরের কারও হাতে না থাকলেও নির্বাচন কমিশন ও কর্তাব্যক্তিদের হাতে আছে। ১৫০ আসনে ইভিএম দেওয়ার সিদ্ধান্তের ফলে কমিশনের ওপর প্রতিটি মানুষ আস্থা হারিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, 'আমাদের শঙ্কা নির্বাচন কমিশনের সততা, বিশ্বাসযোগ্যতা ও ইভিএমের কারিগরি ত্রুটি নিয়ে।'

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো ব্যালটের ১১০ শতাংশ ভোট, নাকি ইভিএমের ৫৩ শতাংশ ভোট, কোনটি ভালো?— এমন প্রশ্নের জবাবে সুজন সম্পাদক বলেন, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব যেন কোনোটাই না হয় তা নিশ্চিত করা। এটা নিশ্চিত না হলে তাদের ব্যর্থতা। এই দায় তাদেরকে নিতে হবে। নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিকভাবে স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। তাদেরকে স্বাধীন করা হয়েছে যেন তারা এদেশের মানুষের স্বার্থে কাজ করতে পারে।

উপস্থাপিত প্রবন্ধে প্রযুক্তিবিদ ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ইভিএমের অন্যান্য বিষয় ডিজিটাল হলেও ফলাফল তৈরি প্রক্রিয়া ডিজিটাল নয়। ম্যানুয়াল হওয়ায় অস্বচ্ছতা ও কারচুপির সুযোগ আছে। কমিশনের মাত্র ৭০-৭৫টি আসনে ইভিএমে নির্বাচন করার সক্ষমতা আছে। অর্থনৈতিক এই সংকটে নতুন করে ইভিএম কিনে ডলার খরচ করার কোনও যৌক্তিকতা নেই।

তিনি বলেন, নিখুঁত বায়োমেট্রিক ও এনআইডি সমস্যা থাকায় ইভিএম ব্যবহার সঠিক হবে না। মাত্র এক বছরের মধ্যে এই সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়। এই সমস্যা মেশিনের নয় বরং সঠিক ডাটাবেইজের সমস্যা।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সুজন সহসম্পাদক জাকির হোসেন, সাবেক সচিব আবদুল লতিফ মণ্ডল প্রমুখ।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh