ইবিতে লুঙ্গি পরে ক্যাম্পাসে আসা নিয়ে ছাত্রলীগের দুগ্রুপের সংঘর্ষ

ইবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:১৫ পিএম

জিয়াউর রহমান হলে লাঠি নিয়ে ছাত্রলীগের মহড়া। ছবি: ইবি প্রতিনিধি

জিয়াউর রহমান হলে লাঠি নিয়ে ছাত্রলীগের মহড়া। ছবি: ইবি প্রতিনিধি

হল থেকে লুঙ্গি পরে ক্যাম্পাসে চলাফেরা করার সময় এক শিক্ষার্থীকে শাসানোকে কেন্দ্র করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ছাত্রলীগ কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। 

আজ শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের পর অনুষদ ভবন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে।

জানা যায়, গত ২৭ আগস্ট লুঙ্গি পরে ক্যাম্পাসে আসে বিশ্ববিদ্যালয়ের ল' এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের হুজ্জাতুল্লাহ ভূঁইয়া। এ ঘটনায় ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জহরুল ইসলাম রিংকু তাকে শাসায় ও মারধর করে বলে অভিযোগ করেন হুজ্জাতুল্লাহ।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৩১ আগস্ট রাতে ১২-১৫ জন আগে থেকেই হলের লাইট বন্ধ করে ওত পেতে থাকে। পরে রিংকুকে জিয়াউর রহমান হলের সামনে একা পেয়ে লাঠি-স্টাম্প দিয়ে মারধর করে পালিয়ে যায়। এসময় হুজ্জাতুল্লাহ ও তার বন্ধু আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের আল আমীনসহ বেশ কয়েকজন মিলে জহরুল ইসলাম রিংকুকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ করেন রিংকু। 

এদিকে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার জুমার নামাজের পর আল আমীনসহ তার বন্ধুদের মারধর করে রিংকু ও তার বন্ধুরা। এসময় ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের রিংকু, হামজা এবং লোক প্রশাসন বিভাগের জামিলসহ আরো কয়েকজন  ছিলেন বলে অভিযোগ করেন আল আমীন।

পরে শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হোসাইন মজুমদারসহ সিনিয়র কর্মীরা সবাইকে হলে পাঠিয়ে দেন।

এরপর সবাই হলে চলে গেলে শহীদ জিয়াউর রহমান হলের ডাইনিংয়ে খেতে গেলে ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আশিক মারধরের শিকার হন। এসময় ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী শুভ্র ভৌমিক, অর্ক এবং আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের সুমন ছিলেন বলে অভিযোগ করেন আশিক। 

এদিকে আশিককে মারধরের ঘটনা জানার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল থেকে তার বন্ধুরা লাঠি, রড, স্ট্যাম্প নিয়ে বের হন। এদিকে জিয়াউর রহমান হলে আল আমীন ও সিনিয়ররাও রড, লাঠি ও স্টাম্প নিয়ে মহড়া দিতে থাকে। পরে ছাত্রলীগের সিনিয়র কর্মীরা দুই পক্ষকে শান্ত করেন।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, শুনলাম সিনিয়র এবং জুনিয়র শিক্ষার্থীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। লুঙ্গি পরার মতো তুচ্ছ বিষয় নিয়ে এমন মারামারি খুবই দুঃখজনক। জানার পর বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আজ ক্যাম্পাসে জুমার নামাজ আদায় করলাম। নামাজের পরে শুনলাম অনুষদ ভবনে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। পরে আমি সহকারী প্রক্টরসহ সিকিউরিটি অফিসারদের জানালাম। পরে শুনলাম আগামীকাল ওরা প্রক্টর অফিসে বসবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh