উত্তরায় গার্ডার দুর্ঘটনার ১২ কারণ চিহ্নিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৬:০৩ পিএম

প্রাইভেটকারের ওপর গার্ডার। ফাইল ছবি

প্রাইভেটকারের ওপর গার্ডার। ফাইল ছবি

রাজধানীর উত্তরায় বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন উড়াল সড়কের গার্ডার পড়ে পাঁচ জনের নিহতের ঘটনায় ১২টি কারণ চিহ্নিত করেছে তদন্ত কমিটি।

আজ রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এ তথ্য জানান সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী।

তিনি বলেন, এ ঘটনা গঠিত তদন্ত কমিটি দুর্ঘটনার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিজিজিসিকে দায়ী করেছে। তাদের অবহেলায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দুর্ঘটনার পেছনে চিহ্নিত হওয়া কারণগুলো তুলে ধরে সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, সরকারি ছুটির দিনে পূর্বানুমতি ছাড়া কাজ করেছে, প্রথমবার দিনের বেলায় গার্ডার স্থাপনের কাজ করেছে, অন্যদিন তারা রাতে কাজটি করত। ক্রেনটি সহকারীর মাধ্যমে পরিচালিত হয়েছে। ক্রেনটির লাইসেন্স ছিল না। ক্রেনটি অসমতল জায়গায় চালানো হচ্ছিল। ক্রেনটির ডিজিটাল মনিটর ছিল না। কাজের পূর্বানুমতি ছিল না।

তিনি আরো বলেন, দুর্ঘটনার সময় ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টের কাজে কেউ ছিল না। সেফটি ইঞ্জিনিয়ারের যথাযথ যোগ্যতা ছিল না। ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান ছিল না। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের নিয়োগ অনুমোদিত ছিল না।

প্রসঙ্গত, (১৫ আগস্ট) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে উত্তরায় প্যারাডাইস টাওয়ারের সামনে বিআরটি প্রকল্পের ক্রেন থেকে গার্ডার ছিটকে পড়ে প্রাইভেটকারের পাঁচ যাত্রী নিহত হন। ওই গাড়িতে থাকা নবদম্পতি গুরুতর আহত হলেও প্রাণে বেঁচে যান। হতাহতরা ঢাকায় একটি বউভাতের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ফিরছিলেন।

নিহতরা হলেন- আইয়ুব আলী হোসেন রুবেল (৫৫), ফাহিমা আক্তার (৩৮), ঝরনা আক্তার (২৭), জান্নাতুল (৬) ও জাকারিয়া (৪)। আহত নবদম্পতি হলেন হৃদয় (২৬) ও রিয়া মনি (২১)।

ঘটনার রাতেই নিহত ফাহিমা আক্তার ও ঝরনা আক্তারের ভাই মো. আফরান মণ্ডল বাবু বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২২ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য রয়েছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh