তুমব্রু সীমান্তে মুহুর্মুহু গোলাবারুদের শব্দ, বাড়ছে আতঙ্ক

বান্দরবান প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৪:০৩ পিএম | আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৫:২৯ পিএম

বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্ত এলাকা। ছবি: বান্দরবান প্রতিনিধি

বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্ত এলাকা। ছবি: বান্দরবান প্রতিনিধি

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নে তুমব্রু সীমান্ত এলাকায় মিয়ানমারের অভ্যন্তর এলাকা থেকে আবারো মুহুর্মুহু গুলি ও ভারী গোলাবারুদের শব্দ শোনা যাচ্ছে। 

আজ মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে তুমব্রু সীমান্ত এলাকার ওপারে থেমে থেমে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মিদের মধ্যে তুমুল গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা।

ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, মঙ্গলবার আটটার আগে থেকে আগের মত সীমান্তের ওপার থেকে মর্টার শেল নিক্ষেপ করছে। এখন শুধু গুলির শব্দ শুনছি তা না, সীমান্তের গোটা এলাকা কাঁপছে। মনে হচ্ছে নিজের ঘরে এসে মারছে। কিছুক্ষণ পর পর শুধু গুলির আওয়াজ আসে। এই ধরেন আধ ঘণ্টা পর পর, আবার এক ঘণ্টা পর পর। যখন ইচ্ছা তখন মারে রা। 

‘এখনো চলছে। এখন যেখানে বাঘের ভয় সেখানে রাত হয়, এই অবস্থা আমাদের। সবাই ভয় ও আতঙ্কে আছে কিন্তু আমাদের সীমান্ত এলাকা ছেড়ে যাব কোথায়।’

তবে ভয় ও আতঙ্ক নিয়ে সীমান্ত এলাকাবাসীরা আপাতত যার যার ঘরে অবস্থান করছে। সীমান্ত এলাকাজুড়ে এখনো বিজিবি ও পুলিশ সদস্যরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বলে জানান স্থানীয় এই জনপ্রতিনিধি।

এ বিষয়ে জানতে কক্সবাজার বিজিবি ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মেহেদী হোসাইন কবিরকে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

এদিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সালমা ফেরদৌস বলেন, সীমান্ত এলাকার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সকালে মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে গুলাগুলির কথা জানিয়েছিল। খুব বেশি জরুরি না হলে সবাইকে যার যার ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছি। অনেকেই সীমান্ত এলাকার বনে গিয়ে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করে। পাহাড়িদের অনেকই সীমান্তে বনজঙ্গলে জুমচাষ করে থাকে। যেহেতু একটা উত্তেজনা চলছে। তাদেরকে কিছুদিন কাজ করা বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে।

ইউএনও সালমা ইসলাম আরো বলেন, তুমব্রু ও ঘুমধুম সীমান্ত এলাকার স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা আমাকে বলছিলেন গুলাগুলির শব্দে ভয় ও আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছিল। মাঝখানে স্কুলে আসতে শুরু করেছিল। আজকে গুলাগুলির কারণে অনেক শিক্ষার্থীরা আবার স্কুলে আসা বন্ধ করে দেবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh