জাল সনদে চাকরি: পঞ্চগড়ে ১১ শিক্ষকের নাম প্রকাশ

পঞ্চগড় প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৭:২৮ পিএম

শিক্ষা মন্ত্রণালয়

শিক্ষা মন্ত্রণালয়

সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাল সনদে চাকরিরত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শুদ্ধি অভিযান চলমান রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা বিভাগ (ডিআইএ) রাজশাহী ও রংপুর অঞ্চলের জাল সনদে চাকরিরত শিক্ষকদের প্রথম পর্বের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

ডিআইএর তথ্য মতে, ২০১৩ সাল থেকে চলতি বছরের ২৫ মে পর্যন্ত সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন ও নিরীক্ষা প্রতিবেদনে মোট ১ হাজার ১৫৬ জন শিক্ষকের শিক্ষাগত এবং যোগ্যতার সনদ ভুয়া বলে তথ্য পেয়েছেন।

গতকাল সোমবার এই তালিকা প্রকাশের পর পঞ্চগড়ের চার উপজেলার ১১ জন শিক্ষকের নাম সামনে আসে। যারা জাল সনদে চাকরি করে আসছেন। এদের মধ্যে সাতজন শিক্ষক এমপিওভুক্ত। বাকি চারজন এমপিওভুক্ত হতে তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন। এই শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতিসহ সরকারি কোষাগার থেকে প্রাপ্ত টাকা ফেরত দিতে হবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে।

প্রকাশিত তালিকায় জাল সনদধারী শিক্ষকরা হলেন- সদর উপজেলার উত্তর দর্জিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিষয়ের সহকারী শিক্ষক শেফালী রানী রায়, জগদল দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ধর্ম বিষয়ের সহকারী শিক্ষক রাহেলা পারভীন। তাদের দুইজনই এমপিওভুক্ত।

আটোয়ারী উপজেলার- আটোয়ারী মহিলা ডিগ্রী কলেজের পরিসংখ্যান বিভাগের এমপিওভুক্ত প্রভাষক মামুনুর রশিদ।

বোদা উপজেলার- সাকোয়া ডিগ্রী কলেজের কৃষি বিভাগের প্রভাষক আব্দুল্লাহ আল মামুন। ইনি এখনো এমপিওভুক্ত হননি।

দেবীগঞ্জ উপজেলার- মল্লিকাদহ বৈদ্যনাথ দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ধর্ম বিষয়ের সহকারী শিক্ষক দিপালী রানী, সহকারী শিক্ষক সাইরুল ইসলাম ও বাবুল চন্দ্র রায়, শালডাঙ্গা দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শরীর চর্চা বিষয়ের শিক্ষক হুমায়ুন কবির। তারা প্রত্যেকেই এমপিওভুক্ত শিক্ষক। নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষক রয়েছেন- বাগদহ ডিগ্রী কলেজের দর্শন বিভাগের প্রভাষক আশরাফুল আলম, বাগদহ ডিগ্রী কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক স্বপন কুমার রায়, চেংঠী হাজরাডাঙ্গা মহাবিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের প্রভাষক আবু সাঈদ।

ডিআইএর প্রতিবেদন বলছে, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে জাল সনদধারী শিক্ষক আছেন ৪৪৩ জন। প্রথম পর্বে ১৯৩ জন শিক্ষকের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। বাকীদের নাম শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানায় সংশ্লিষ্ট দপ্তর।

শিক্ষা বিভাগ জাল সনদধারী শিক্ষকদের কাছ থেকে সরকারি বেতন-ভাতা ফেরত ও তাদের অপসারণসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে শিগগিরই পদক্ষেপ নেবে।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শাহীন আকতার বলেন, এখনো কোন নির্দেশনা না পেলেও বিষয়টি শুনেছি। তবে জাল সনদধারীদের ব্যাপারে বিধি মোতাবেক যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে শিক্ষা পরিবার তা বাস্তবায়ন করবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh