ট্রাসের মন্ত্রিসভায় শীর্ষ চার পদে নেই কোনো শ্বেতাঙ্গ পুরুষ

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১২:০৮ এএম

ছবিতে যুক্তরাজ্যের অর্থমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মন্ত্রী। ছবি: বিবিসি

ছবিতে যুক্তরাজ্যের অর্থমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মন্ত্রী। ছবি: বিবিসি

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মন্ত্রিসভায় বড় রদবদল এনেছেন লিজ ট্রাস। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, নতুন মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেয়েছেন তার ঘনিষ্ঠদের অনেকে। দেশটির প্রভাবশালী অনেক নেতাই আবার বাদ পড়েছেন মন্ত্রীর তালিকা থেকে। আর প্রধানমন্ত্রীসহ শীর্ষ চারপদে নেই কোনো শ্বেতাঙ্গ পুরুষ। প্রধানমন্ত্রী ট্রাস শ্বেতাঙ্গ হলেও নারী। এ ছাড়া অর্থ, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র এই তিন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে কৃষ্ণাঙ্গ ও মিশ্রবর্ণের আইনপ্রণেতাদের দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) স্কটল্যান্ডের বালমোরাল ক্যাসেলে যুক্তরাজ্যের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে দেখা করেন ট্রাস। এ সময় দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ট্রাসকে নতুন সরকার গঠনের অনুমোদন দেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে রানির ৭০ বছরের রাজত্বকালে ১৬তম প্রধানমন্ত্রী হন ট্রাস।

ট্রাসের নতুন মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কৃষ্ণাঙ্গ কোয়াসি কোয়ার্টেংকে। তার মা-বাবা ষাটের দশকে ঘানা থেকে এই দেশে এসেছিলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন জেমস ক্লিভারলি। তার মা সিয়েরা লিওন বংশোদ্ভূত আর বাবা একজন শ্বেতাঙ্গ। মিশ্রবর্ণের শিশু হওয়ায় তাকে নিগৃহীত হতে হয়েছিল বলে অতীতে অভিযোগ করেছেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সুয়েলা ব্রাভারম্যানকে। ছয় দশক আগে তার মা-বাবা কেনিয়া ও মরিশাস থেকে ব্রিটেনে পাড়ি জমান। জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকে দ্বিতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রীতি প্যাটেলের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন তিনি। সুয়েলা পুলিশ ও অভিবাসন বিভাগের দেখভালের দায়িত্বে থাকবেন।

সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন মিশেল ডোনেলান। আর নতুন উপপ্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী হয়েছেন ট্রাসের কাছের বন্ধু থেরেসে কফে।

সদ্য ঘোষিত মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের মন্ত্রিসভার অনেকে। তাদের একজন সাবেক বিচারবিষয়ক মন্ত্রী ডোমিনিক রাব। নতুন মন্ত্রীদের তালিকায় নেই সাবেক পরিবহনমন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপস ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্টিভ বার্কলে। সাবেক আন্তর্জাতিক বাণিজ্যবিষয়ক মন্ত্রী পেনি মরডান্টকে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সের নেতার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নতুন আন্তর্জাতিক বাণিজ্যবিষয়ক মন্ত্রী হয়েছেন কেমি ব্যাডেনচ। কর্ম ও পেনশনবিষয়ক মন্ত্রী হয়েছেন ক্লো স্মিথ। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন কিট মাল্টহাউস। ট্রাসকে দীর্ঘ সময় ধরে সমর্থন দিয়ে আসা জ্যাকব রিসমগ ব্যবসা, জ্বালানি ও শিল্পকৌশল বিষয়ক মন্ত্রী হয়েছেন। লেভেলিং আপ মন্ত্রণালয়ের হাল ধরছেন সিমন ক্লার্ক। আর অ্যানি-ম্যারি ট্রেভেলিয়ানকে পরিবহনমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

পরিবেশবিষয়ক মন্ত্রী হয়েছেন রনিল জয়াবর্দেনা। ব্রান্ডন লুইসকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিচারবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের। অর্থমন্ত্রীর পদ ছেড়ে আন্তঃসরকার সম্পর্ক ও সমতাবিষয়ক মন্ত্রী হয়েছেন নাদিম জাহাবি। গতবারের মতোই প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নিজের দখলে রেখেছেন বেন ওয়ালেস। অন্যদের মধ্যে ক্রিস হিটন হ্যারিস নর্দান আয়ারল্যান্ডবিষয়ক মন্ত্রী হয়েছেন। আলিস্টার জ্যাক ও রবার্ট বাকল্যান্ড যথাক্রমে স্কটল্যান্ড ও ওয়েলসবিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন। ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির (টরি) চেয়ারম্যান ও দফতরবিহীন মন্ত্রী হয়েছেন জেক বেরি। অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন লর্ড ট্রু। মন্ত্রিসভায় কপ২৬-এর প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের পদ ধরে রেখেছেন অলোক শর্মা।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh