নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১২:৫৭ পিএম
মাটিচাপা দিয়ে রাখা নিহত নূর হোসেন শাকিলের (২৫) মরদেহ উদ্ধার করছে পুলিশ। ছবি: নোয়াখালী প্রতিনিধি।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে মাকে মারধর করায় বড় ভাইকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মাটিচাপা দিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই এমাম হোসেন (২২) ও বাবা বশির হোসেন ওরফে বাবুল মিয়াকে (৬০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের তিনদিন পর মাটি খুঁড়ে নিহত নূর হোসেন শাকিলের (২৫) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গতকাল বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার ৯নং মিরওয়ারিশপুর ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের লালপুর এলাকার হাজী বাড়ি সংলগ্ন পুকুর পাড় থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
এর আগে, গত শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে শাকিলকে হত্যা করে মরদেহ বসতঘর সংলগ্ন পুকুর পাড়ে মাটিচাপা দিয়ে রাখে।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, গত শনিবার পারিবারিক কলহের জের ধরে ছোট ভাই ও বাবা মিলে শাকিলকে হত্যা করে। এরপর বসতঘর সংলগ্ন পুকুর পাড়ে মরদেহ মাটিচাপা দিয়ে রাখে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, নিহত শাকিল পরিবারের সদস্যের ওপর প্রায়ই নানা কারণে অত্যাচার করত। এসব ঘটনার জের ধরে পরিবারে কলহ দেখা দেয়। একপর্যায়ে বাবা ও ছোট ভাই মিলে তাকে হত্যা করে মরদেহ মাটিচাপা দিয়ে রাখে।
পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, নিহত শাকিল মাদকাসক্ত ছিল। মাদক সেবনের টাকার জন্য গত শনিবার ১০টার দিকে সে তার মা ফাতেমা বেগমকে মারধর করে। এতে তিনি জ্ঞান হারান। এটা নিয়ে শাকিলকে তার ভাই এমাম হোসেন গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
পরে বাবা বশির হোসেন বাবুল মিয়াকে নিয়ে রাতের আঁধারে মরদেহটি পুকুর পাড়ে মাটিচাপা দেয়া হয়।
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।