নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:১২ এএম
বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা ও মূল্যস্ফীতির কারণে চলতি বছরের জুলাই-আগস্ট মাসে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে থেকে অর্ডার কমে যাওয়ায় চাপে পড়েছে পোশাকশিল্প। দেশে অন্তত ২০ শতাংশ অর্ডার কমেছে। আগামী মাসগুলোতে আরো কমতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
গত শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর উত্তরায় সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মূল্যস্ফীতি ও অর্থনৈতিক মন্দার কারণে ক্রয়াদেশ ক্রমেই কমছে ২০-৩০ শতাংশ। যার কারণে পোশাক খাতে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধিও হতে পারে।
তিনি আরো বলেন, খুচরা বিক্রেতারা ক্রমবর্ধমানভাবে মুদ্রাস্ফীতির বিশ্ববাজারের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে সংগ্রাম করছেন। অনেক ব্র্যান্ডের পণ্যের খুচরা বিক্রি কমেছে। এতে তাদের অবিক্রিত পণ্য বেড়ে যাচ্ছে। এসব বিবেচনা করে আগামী মাসগুলোতে আমাদের রপ্তানি আরো কমতে পারে।
বিশ্বজুড়ে জ্বালানি সংকট চলছে। স্থানীয় পর্যায়ে গ্যাস-বিদ্যুতের সংকটের প্রভাব আমাদের পোশাকশিল্পেও পড়ছে এবং উৎপাদন ব্যয় বেড়ে গেছে। এ জন্য রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানাগুলোতে বিশেষ ব্যবস্থায় চাহিদা অনুযায়ী নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
ফারুক বলেন, পোশাকশিল্পে আমাদের দখলে আছে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ বাজার। এই বাজার শেয়ারকে চলতি বছরের মধ্যে ৮ শতাংশে নিয়ে যেতে চাই।
পোশাক খাতে প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার জন্য নতুন নতুন বাজার অনুসন্ধানের পরিকল্পনা করতে হবে এমন মন্তব্য করে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে পোশাক রপ্তানি বাড়ানোর জন্য আমরা সেখানের কয়েকটি দেশের বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণ করছি। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে পোশাকের বাজার সৃষ্টির মাধ্যমে এই খাতে সম্ভাব্য নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির যে চ্যালেঞ্জ আছে, আমরা তা মোকাবিলা করতে পারব।
এ সময় বিজিএমইএর সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ আজিমসহ পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।