বিপৎসীমার ওপরে দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীর পানি, টানা বৃষ্টিতে দুর্ভোগ

বরিশাল প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৭:৩৩ পিএম | আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৭:৩৮ পিএম

টানা বৃষ্টিতে নিচু এলাকা প্লাবিত। ছবি: বরিশাল প্রতিনিধি

টানা বৃষ্টিতে নিচু এলাকা প্লাবিত। ছবি: বরিশাল প্রতিনিধি

বরিশালে গত রবিবার থেকে একটানা বর্ষণে জীবনযাত্রা থমকে গেছে। একই সাথে এই অঞ্চলের নদ-নদীতে স্বাভাবিক উচ্চতার চেয়ে বেশি জোয়ার হচ্ছে। এ কারণে বরিশাল নগরীসহ বিভাগের সবকটি জেলার নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। দুর্ভোগে পড়েছেন এসব এলাকার বাসিন্দারা। বৃষ্টির পানিতে বরিশাল নগরীর রাস্তাঘাটে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী।

বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানিয়েছে, রবিবার থেকে বিভাগের মধ্যে বরিশাল নগরী সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভোলার দৌলতখানের সুরমা-মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার, তজুমদ্দিনের সুরমা-মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৮৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এছাড়া পটুয়াখালীও  বরগুনা জেলার ওপর দিয়ে মির্জাগঞ্জের পায়রা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বরগুনার বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার ও পাথরঘাটায় ৮২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।


অস্বাভাবিক জোয়ারে বরিশাল সদরের দপদপিয়া, চরবাড়িয়া, কাউয়ার চর কালিজিরা, চরমোনাই ইউনিয়নের চর হোগলা, পশুরিকাঠি, গিলাতলী এবং নগরীর রসুলপুর, পলাশপুর, আমানতগঞ্জ, জেলার মেহেন্দীগঞ্জ, হিজলা, মুলাদি উপজেলার অনেক এলাকা পানিতে প্লাবিত হয়েছে।

বরিশাল অঞ্চলে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৪২৭ দশমিক তিন মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে নগরীর সদর রোড, বগুড়া রোড, পলিটেকনিক সড়ক, ব্রাউন কম্পাউন্ড, এম এ জলিল সড়কসহ বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এরমধ্যে মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে ১২টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে ৩২ মিলিমিটার।


প্রবলবৃষ্টিতে  নগরবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। বৈরী আবহাওয়ার কারণে নগরীর লোকজনের বাইরে চলাচল কম ছিল। অফিসমুখী ও জরুরি কাজ ছাড়া অধিকাংশ মানুষই ছিলেন ঘরবন্দী।

বরিশাল আবহাওয়া বিভাগ বলছে, পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর আশপাশের উত্তর–পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম ও উত্তর–পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।


আবহাওয়া কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক মাহফুজুর রহমান বলেন, পূর্ণিমা ও বায়ুচাপের পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলাসমূহের দূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হচ্ছে। সেই সাথে বৃষ্টিপাতও অব্যাহত রয়েছে। নিম্নচাপটি স্থলভাগে উঠে যাওয়ায় এটা বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়বে। এজন্য আরো দুই থেকে তিনদিন বৈরী আবহাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে।


সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh