এসএসসি পরীক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৫

নাটোর শহরের হাফরাস্তা এলাকায় এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার সাড়ে চার ঘণ্টার মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর)  তিন ধর্ষক এবং দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসামাত্রই সাড়ে চার ঘণ্টার সাড়াশি অভিযানে তিন ধর্ষক ও দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করতে  সক্ষম হয়েছে পুলিশ। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ধর্ষক শহরের কানাইখালী মহল্লার আফজাল হোসেনের ছেলে কুখ্যাত সন্ত্রাসী রনি মিয়া, মৃত মোহাম্মদ  আলীর ছেলে রকি এবং আব্দুল মজিদের ছেলে সোহান বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়া এ ধর্ষণের ঘটনায় সহযোগিতার অভিযোগে অভিযুক্ত মৃদুল হোসেন এবং তার স্ত্রী মিথিলা পারভীন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চাঞ্চল্য সৃষ্টিকারী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনাটি  ঘটেছে, শহরের হাফরাস্তা এলাকার সাগর মিয়ার ভাড়া বাসায়। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রাজশাহীর বিনোদপুর থেকে আবির (২১) নামের এক দোকান কর্মচারী তার এসএসসি পরীক্ষার্থী প্রেমিকাকে নিয়ে নাটোর আসেন। পরে স্থানীয় এক বন্ধু বিয়ে দেওয়ার কথা বলে শহরের হাফরাস্তা এলাকায় মৃদুল ও মিথিলা দম্পতির বাসায় নিয়ে যান। এই দম্পতি ধর্ষক রনি, রকি ও সোহানকে ডেকে নিয়ে যান। এসময় তারা  দলবদ্ধভাবে ওই ছাত্রীকে গলায় চাকু ধরে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করেন। পরবর্তীতে তাদের টাকা না দিলে ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেবে বলে ভয় দেখায়। পরবর্তীতে তারা ছাড়া পেয়ে রাত আনুমানিক ১১ টার নাটোর থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন।

ঘটনার খবরে সাথে সাথে সক্রিয় হন নাটোর থানা পুলিশ। আজ বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ভোরে সদর উপজেলার তেলকুপি নুরানীপাড়া থেকে তিন ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে। গতকাল মঙ্গলবার রাতেই মিথিলা ও মৃদুলকে শহরের হাফরাস্তা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

নাটোর সদর থানার এস আই জামাল উদ্দীন জানান, আমরা ধর্ষিতার অভিযোগ পাওয়ার পর পরই অভিযানে নামি। ঘটনার পর পরই শহরের হাফরাস্তা থেকে দুই সহযোগী এবং তেলকুপি নূরানীপাড়া থেকে তিন ধর্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়।