চুয়াডাঙ্গায় বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চল

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৪:৩০ পিএম | আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৪:৩৮ পিএম

বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চল। ছবি: চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চল। ছবি: চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

চুয়াডাঙ্গায় টানা বৃষ্টিপাতে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে এলাকার নিম্নাঞ্চল ও রাস্তাঘাট। চুয়াডাঙ্গা, আলমডাঙ্গা, দর্শনা ও জীবননগর পৌর এলাকায় বৃষ্টির পানি জমে রাস্তা গুলো চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। পাড়া মহল্লার রাস্তা কোমর ও হাঁটু পানি নিচে তলিয়ে গেছে। সে কারণে ইজি বাইক, রিকশা, মোটরযান চলাচল করতে পারছেনা। ড্রেন গুলো পরিষ্কার না করায় বৃষ্টির পানি বের হতে পারছে না। কবে রাস্তা ও আবাসিক এলাকা থেকে পানি বের হবে তা  পৌর কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করে বলতে পারছে না। 

চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের জীবননগর বাসস্ট্যান্ডপাড়ার বাসিন্দা ব্যবসায়ী জাকির হোসেন বলেন, জমে থাকা পানি সরাতে পৌর কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থাই গ্রহণ করেনি। টানা বৃষ্টিতে রাস্তার ওপর ড্রেন উপচে ময়লা পানিতে একাকার হয়ে গেছে। অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে গোটা পৌর এলাকা। 

২ নম্বর ওয়ার্ডের শান্তিপাড়ার বাসিন্দা সংবাদকর্মী উজ্জ্বল মাসুদ জানান, টানা বর্ষণে জমে থাকা পানির কারণে এলাকার রাস্তায় চলাচল করা যাচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরের গুরুত্বহীনতার কারণে এলাকার আনাচেকানাচে পানি জমে বেশ সমস্যা সৃষ্টি করছে।

চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক বলেন, হঠাৎ বৃষ্টির কারণে পৌরবাসীকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। কিছু অসচেতন পৌরবাসীর কারণে ড্রেন পরিষ্কার রাখা যাচ্ছে না। তারাই ড্রেন নিষ্কাশনের অযোগ্য করে রেখেছে। তবে আমরা পানি নিষ্কাশনের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। আশা করা যায় এর দ্রুত সমাধান হবে।

সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাত ২টার পর থেকে থেকে মুষলধারায় বৃষ্টি শুরু হয়ে যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। সে কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে ওঠেছে। ভারী বর্ষণের কারণে জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। এতে স্বাভাবিক কাজকর্ম গতি হারিয়েছে। বেশিরভাগ মানুষই সঠিক সময়ে তাদের কর্মস্থলে পৌঁছুতে পারছে না। শ্রমজীবী দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ কাজ পাচ্ছে না। 

শ্রমজীবী রিকাত আলী জানায়, বৃষ্টির জন্য কেউ তাকে কাজে নিচ্ছে না। কাজ না পেয়ে কদিন তাকে ফিরে যেতে হচ্ছে। বাজার করার টাকা জোগাড় করতে না পেরে পরিবার পরিজন নিয়ে অনাহারে দিন কাটছে তার।  

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ সামাদুল হক জানান, সোমবার রাত ২টা ১০ মিনিট থেকে ভারী বর্ষণ শুরু হয়ে যা বুধবারও অব্যাহত রয়েছে। এদিন দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১৪৪ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা চলতি মৌসুমে জেলায় সর্বোচ্চ।


সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh