ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৬:৫৬ পিএম
সেচ পাম্প হাউজ থেকে উদ্ধার হওয়া মেছোবাঘ। ছবি: ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
নিরাপদ ভেবেই মাঠের ধান খেতের সেচ পাম্প হাউজে বাসা পেতেছিল বিলুপ্ত প্রজাতির মেছোবাঘ, সেখানে দুটি বাচ্চাও হয় তার। প্রায় ১৫ ফুট গভীরতার পাকা হাউজের ভেতরে বাসা তৈরি করেছিল মা বাঘটি। তবে টানা বৃষ্টিপাতে পানি ঢুকে পড়ে হাউজে। আর এতেই বিপত্তি দেখা দেয়, মারা যায় একটি বাচ্চা।
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার সারুটিয়া ইউনিয়নের গাংকুলা গ্রামের শামছুল মাওলানার সেচ পাম্পে এ ঘটনা ঘটে।
ছেলে মুনমুন ইসলাম জানান, আজ সকালে বাঘের মত ভয়ংকর শব্দ শুনে বোরিং ঘরে যান তিনি। টর্চের আলোয় প্রথমে বাঘ ভেবে দৌড়ে পালায়। পরে আরো লোকজন ও পর্যাপ্ত আলোসহ গেলে দুটি বাচ্চাসহ একটি মা মেছো বাঘ সেখানে দেখতে পায়। এরপর ভোর থেকে আশপাশের গ্রামে বাঘ দেখার খবর ছড়িয়ে পড়ে। উৎসুক জনতা দলে দলে বাঘ দেখতে ভিড় জমায়।
তিনি আরো জানান, গ্রামের বাসিন্দারা একটি বাচ্চা উপরে তোলে। এরপর আগুনের তাপ দিয়ে বাচ্চাটিকে সুস্থ করার চেষ্টা করে। এদিকে উৎসুক জনতার ভিড়ে ভিতু হয়ে পড়ে মা মেছোবাঘটি। স্থানীয় জনগণ মেছো বাঘ উদ্ধারের জন্য বনবিভাগের নজরে আনে।
জানা যায়, শৈলকুপা উপজেলা বনবিভাগের কর্মকর্তারা একটি দড়ি গভীর হাউজটির ভেতরে দিয়ে মেছোবাঘটি উদ্ধারের চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে রসিটি শরীরের সাথে আটকে উপরে তুলে। তবে সেখান থেকে ক্লান্ত মেছো বাঘটি আবার পাশের পুকুরে পড়ে যায়। একটু পরে নিজেই লাফ দিয়ে ডাঙ্গায় ওঠে এবং নিরাপদস্থানে চলে যায়। এদিকে বেঁচে থাকা আরেকটি বাচ্চা সুস্থ করে ওই ধান খেতের আশপাশে বাগানে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
বনবিভাগের কর্মকর্তারা জানান, জনগণ সরে গেলে, কোলাহলমুক্ত হলে বাচ্চাটি তার মা নিয়ে যাবে।
শৈলকুপা উপজেলা বন কর্মকর্তা মখলেচুর রহমান জানান, সুস্থভাবে মেছোবাঘ ও তার ১টিবাচ্চাকে হাউজ থেকে তুলে নিরাপদে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।