মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ওপর হামলার অভিযোগ যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে

জামালপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:১৫ পিএম | আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:১৬ পিএম

বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাশেমের ছেলের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: জামালপুর প্রতিনিধি

বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাশেমের ছেলের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: জামালপুর প্রতিনিধি

জামালপুরের মেলান্দহে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ ও শাহিন বাঘা নামে দুই যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। তারা যথাক্রমে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

আজ বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে জামালপুর প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে আলমগীর হোসেন পলিন এ অভিযোগ করেন। তিনি উপজেলার আদিপৈত কামারপাড়া এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাশেমের ছেলে। 

তিনি অভিযোগ করেন, উপজেলার খানপাড়ায় জনৈক ব্যক্তির কাছ থেকে জমি ক্রয় করেন। ওই জমি মঙ্গলবার দুপুরে মেলান্দহ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল করতে গেলে শাহজাদপুরের মৃত বাদশা বাঘার পুত্র শাহিন বাঘা ও আদিপৈত এলাকার মৃত নওশের আলীর পুত্র ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে জমি রেজিস্ট্রি করতে দেবে না বলেও হুমকি প্রদান করেন। তাদের দাবিকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনায় পর বিকাল ৫টার দিকে শাহিন বাঘা ও ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে মেলান্দহ বাজারে স্যানেটারি মালামালের দোকানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এসময় দোকানে থাকা ২০ লাখ টাকা সমমূল্যের স্যানেটারি সামগ্রী লুটপাটসহ অন্তত লক্ষাধিক টাকার মালামাল নষ্ট করে। হামলার খবর পেয়ে আলমগীরসহ অন্যরা এগিয়ে গেলে শাহিন বাঘা ও ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ তার পরিবারের সদস্যদের মেরে ফেলার হুমকি দেন। এ অবস্থায় ঘটনার রাতেই মেলান্দহ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। হুমকিদাতারা ক্ষমতাবান হওয়ায় পরিবারের সদস্যরা ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাশেম জানান, বর্তমানে হামলাকারীদের ভয়ে পুরো পরিবারের চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাই তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে সেলিম মিয়া, গিয়াস আহমেদ, সুরুজ্জামান বেপারিসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে যুবলীগ নেতা ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ বলেন, মেলান্দহে কোথায়ও চাঁদাবাজি হয়েছে তার কোন নজির নেই। ঘটনার দিন আলমগীর হোসেন আমার ও সাধারণ সম্পাদক শাহিন বাঘার উপর হঠাৎ করেই হামলা করে গুরুতর আহত করে। এ ঘটনায় হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেয়াসহ রাতেই হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে তাদের অভিযোগ সম্পূর্ণ বানোয়াট বলেও দাবি করেন।

মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন বলেন, গতকাল রাতে হামলার অভিযোগ এনে শাহীন বাঘা ওই পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে। পরে ওই মুক্তিযোদ্ধার পরিবারও ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ ও শাহীন বাঘার পাল্টা অভিযোগ এনে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা তদন্ত করছি।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh