সমঝোতার কথা বলে চেয়ারম্যান-মেম্বার মিলে কিশোরীকে ধর্ষণ

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:৪০ পিএম

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

সুনামগঞ্জের শাল্লায় উপজেলায় বাহারা ইউনিয়নে সমঝোতার কথা বলে ডেকে এনে ইউনিয়ন পরিষদের কক্ষেই চেয়ারম্যান আর তার এক ইউপি সদস্য এক কিশোরীকে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

গত বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সাড়ে রাত ৮টায় সুনামগঞ্জের শাল্লায় বাহাড়া ইউনিয়ন পরিষদের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। 

অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার বাহাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিশ্বজিত চৌধুরী নান্টু ও ইউপি সদস্য (মেম্বার) দেবব্রত দাস। 

ভুক্তভোগী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কিশোরী শাল্লা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। 

এই ঘটনা জানাজানি হলে এলাকার ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে। 

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাহাড়া ইউনিয়নের বাহাড়া গ্রামের মলয় দাসের সাথে ওই কিশোরীর দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক থাকা অবস্থায় প্রেমিক মলয় ওই কিশোরীকে রেখে অন্য এলাকায় বিয়ে করার প্রস্তুতি নেন। এই খবর জানতে পেরে গত বৃহস্পতিবার সাড়ে রাত ৮টায় ওই কিশোরী মলয়ের বাড়িতে যান। 

পরে মলয়ের অভিভাবকেরা বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিত চৌধুরী নান্টুকে জানান। চেয়ারম্যান বিশ্বজিত চৌধুরী মলয়ের বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি সমঝোতা করে দেওয়ার কথা বলে কিশোরীকে রাতেই তার অফিসে নিয়ে যান। পরে চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য দেবব্রত দাস মাতবর মিলে ওই কিশোরীকে রাতভর ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করেছে কিশোরী ও তার  পরিবার। ঘটনরা পর দিন সকালে ওই কিশোরী শাল্লা থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিত চৌধুরী নান্টু ও ইউপি সদস্য দেবব্রত দাসের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শনে করেছি। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh